দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা হাসিনাবিন স্থাপন করেছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ডাস্টবিনগুলোতে হাসিনাবিন স্থাপন করেছেন। পূর্ব থেকে স্থাপিত ডাস্টবিনগুলোতে শিক্ষার্থীরা হাসিনার ব্যাঙ্গাত্মক ছবি ছাঁটিয়ে হাসিনাবিনে রূপান্তর করেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশের মাটিতে স্বৈরশাসন চালিয়েছে তাতে তার জায়গা এই ডাস্টবিনেই হওয়া উচিত। তারা আরো বলেন, ডাস্টবিনে কেউ ময়লা না ফেললেও হাসিনাবিনে ঠিকই ময়লা ফেলবে।এর অন্যতম কারণ স্বৈরশাসক হাসিনার প্রতি ছাত্র-জনতার ব্যাপক ঘৃণা।
হাসিনাবিনের বিষয়ে জানতে চাইলে মেকানিকাল বিভাগের ২০ ব্যাচের নাজমুল হাসান ইমন বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার স্থান অমর একুশে বই মেলায় দেখেছেন আপনারা। তার স্থান মূলত ডাস্টবিনেই। তার স্বৈরাচারী শাসনে মানুষ এতদিন ত্যাক্ত-বিরক্ত ছিল। আমরা শিক্ষার্থীরা মনে করি খুনি হাসিনার অবস্থান নিঃসন্দেহে ডাস্টবিনে হওয়া উচিত। তাই তাকে ডাস্টবিনে স্থান দেওয়া হয়েছে।
এগ্রিকালচার এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রায়হান মাহমুদ বলেন, আজ আমরা হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় অবস্থান জানান দিতে ক্যাম্পাসের ডাস্টবিনগুলোকে ‘হাসিনা বিন’ এ পরিণত করেছি। এটি শুধু একটি প্রতীকী প্রতিবাদ নয়, এটি আমাদের ঘৃণা ও প্রতিরোধের প্রতিফলন। স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে যে বিজয় শিক্ষার্থীরা অর্জন করেছে, তা আমাদের সকলকে সমুন্নত রাখতে হবে! আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই—বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ কর্তৃত্ববাদী শাসনের পুনরুত্থান মেনে নেবে না। কেউ হয়তো ডাস্টবিনে ময়লা ফেলবে না, কিন্তু ‘হাসিনা বিনে’ ঠিকই সবাই ময়লা ফেলবে। পরিশেষে এটাই বলতে চাই, কোনও ভারত বাদ না, পাক বাদ না, এক বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২১ ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী মো.সজিব বলেন,বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা খুনি হাসিনার স্বৈরশাসনকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। কিন্তু তার নির্লজ্জ পেটুয়া বাহিনী আবারও রাজনীতিতে অনুপ্রবেশের বৃথা চেষ্টা করছে।কিন্তু তারা ভুলে গেছে তাদের নেতৃর স্থান কোথায়। ফ্যাসিস্ট হাসিনার নেতা-কর্মীদের বোঝানোর জন্যই আজকের এই হাসিনাবিন স্থাপন করা। এটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হাসিনার প্রতি তাদের ঘৃণাকে নিক্ষেপ করতে পারবেন।
কেকে/ এমএস