দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষকরা আধুনিক যন্ত্র নির্ভর রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন। এতে শ্রমিক সংকট, অতিরিক্ত খরচ সাশ্রয়সহ উৎপাদন বৃদ্ধির আশাবাদ করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে কৃষি জমিতে এ কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সরকার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ব্লক প্রদর্শনীর মাধ্যমে হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদ বাস্তবায়নে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আল মুক্তাদির, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. তমিজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ. ম. জাহেদুল ইসলাম বলেন, মেশিনের মাধ্যমে সমগভীরতায় ও সম দূরত্বে চারা রোপণ করা হয়, এতে চারার ক্ষতি হয় না এবং ফলনও বৃদ্ধি পায়।
গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, আগে হেক্টরপ্রতি ৩০-৩৫ জন শ্রমিক দিয়ে চারা রোপণে ২১,৬১২ টাকা খরচ হতো। এখন রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে মাত্র ১২,৩৫০ টাকা খরচে এই কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। এতে খরচ কমেছে ৯,২৬২ টাকা।
উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৩,০২০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ইতিমধ্যে ১৫৬ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার জানান, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার পদ্ধতি কৃষকদের জন্য শ্রম, সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের একটি যুগান্তকারী মাধ্যম। ফসলের গুণগত মান বজায় রাখা এবং ফলন বৃদ্ধিতে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
সরকারি ভর্তুকির আওতায় কৃষকদের জন্য এই মেশিনসহ ধান কাটার কম্বাইন হারভেস্টার সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
কেকে/এএম