সড়ক ও জনপথ বিভাগ বিনা নোটিশে বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প উচ্ছেদ করায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সব পেট্রোল পাম্পের মতো বুধবার সকাল থেকে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল বিক্রি বন্ধ করে দেন পেট্রোল পাম্প মালিকরা। তবে সকাল থেকে তেল বিক্রি বন্ধ ঘোষণা দিয়ে বিকেলেই এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কৃষক ও যানবাহন চালকরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস ও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এই ধর্মঘটের ফলে বিপাকে পড়েন কৃষক, মোটরসাইকেল, ট্রাক্টর ও যানবাহনের চালকরা। এদিকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তেল পাম্প বন্ধ থাকায় খোলা বাজারে জ্বালানি তেল বেশি দামে বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস ও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলার শিহাব ফিলিং স্টেশন, শাহ-আমানত ফিলিং স্টেশন, পাপড়ী ফিলিং স্টেশনসহ সব পেট্রোল পাম্প সকাল থেকে বন্ধ থাকে । হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের পাম্প বন্ধ থাকায় যানবাহন চালকেরা ও মোটরসাইকেল, ট্রাক্টর চালকেরা তেল নিতে এসে পাম্প থেকে হতাশ হয়ে ফেরত যান।
বুধবার বিকেলেই পেট্রোল পাম্প খোলার সিদ্ধান্ত প্রচার হলে গঙ্গাচড়া বাজারের শিহাব ফিলিং স্টেশনে তেল নিতে আসা মোটরসাইকেল চালক ফারুক হোসেন বলেন, গাড়িত তেল শেষ হইছে, সকালে তেল নিতে এসে শুনি ধর্মঘট। তাই পেট্রোল পাম্প বন্ধ। তেল নিয়ে আমার জরুরী কাজে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম যাওয়ার কথা ছিল। তেল না পাওয়ায় বাড়ি ফিরে যাই। আগে জানাইলে আমি গতকালকেই তেল কিনে রাখতাম। এখন শুনলাম পেট্রোল পাম্প খুলছে তাই তেল নিতে আসলাম।
লক্ষীটারীর আনুরবাজার এলাকার শাহ-আলম ফিলিং স্টেশনে তেল নিতে আসা ট্রাক্টর চালক সামসুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে কয়েক বিঘা জমি কাটা লাগতো। রাইতোত তেল নিলাম না যে সকালে নিবো, সকালে আসি দেখি পাম্প বন্ধ। এখন শুনলাম পাম্প খুলছে তাই তেল নিতে আসলাম। যাহোক কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তেলপাম্প খোলায় মনের মধ্যে স্বস্তি ফিরছে।
গঙ্গাচড়া শিহাব ফিলিংস স্টেশনের ম্যানেজার সাদেকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস ও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল থেকে তেল পাম্প বন্ধ ছিলো । কেন্দ্রীয় নির্দেশ আশায় আবার বিকেলে তেল পাম্প খোলা হয়েছে।
কেকে/ এমএস