কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও ১৬ সেবিকার সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলনের ঘটনায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাৎ-এর নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে দুদকের অন্তত ১০-১২ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
এর আগে দায়িত্ব পালন ছাড়াই হাসপাতালটির ১৬ সেবিকার সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন বিষয়টি নজরে আসে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের। সম্প্রতি এ বিষয়ে নোটিশ জারি করে বেতন-ভাতা ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার অভিযানে নামে দুদুক। দুপুর ১২টার দুদকের একটি টিম প্রথমে হাসপাতালের হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ওমর রাশেদ মুনীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তারা হাসপাতালের নার্সিং সুপারিন্টেনডেন্ট মোসাম্মৎ রিনানা বেগমের কক্ষে প্রবেশ করে।
এ সময় তারা বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে। সেখান থেকে তারা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ) ডা. মাহবুবুল আলমের কক্ষে প্রবেশ করেন।
এ বিষয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ওমর রাশেদ মুনীর বলেন, দুদকের একটি দল এসেছে। তারা তাদের মতো করে কাজ করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগীতা করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওসমানী হাসপাতালের কর্মস্থলে নেই ৪৩ জন নার্স কর্মকর্তা। এর মধ্যে মধ্যে ১৬ জন কর্মস্থলে না থেকেও মাসের পর মাস বেতন নিয়েছেন। বিষয়টি সম্প্রতি ধরা পড়ায় গত ৮ জানুয়ারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই নোটিশে উল্লিখিত ১৬ জনকে প্রতারণার মাধ্যমে উত্তোলনকৃত বেতন-ভাতার টাকা ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ১৬ নার্স কর্মকর্তা হলেন- সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. ইউসুফ, মো. আব্দুর রহমান, লিপি রানী, আওলাদ হোসেন মাসুম, জাহেদ আহমদ, এমএফকে জান্নাত, একরামুল হক, রুনা, কামরুন্নাহার, ঝিলি ধর, মোহাম্মদ আলী আশরাফ, মো. শাহিন মিয়া, শামীমা জান্নাত, জান্নাতুল ফেরদাউস, মোছা. শিরীন সুলতানা ও লাভলী বেগম।
কেকে/এএম