বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে নানান দুম্রজাল। আমরা পরিষ্কার করতে চাই, জনগণের সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে যে প্রতিনিধি তারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসার সত্যিকারের হকদার। এবং সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অনির্বাচিত সরকার কখনোই জনগণের সরকার না। এজন্য নানান অজুহাতে নির্বাচনকে বিলম্ব করার চেষ্টা একটি দেশবিরোধী এবং ৫ই আগস্টের চেতনা বিরোধী।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার টাউনহল মিলনায়তনের অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে চব্বিশের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তথ্য সম্বলিত ‘২য় স্বাধীনতায় শহীদ যারা’ শীর্ষক স্মারকের মোড়ক উন্মোচন শহীদ পরিবার, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও শুভাকাঙ্খীদের মত বিনিময় সভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময়, জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে স্মারকটির মোড়ক উন্মোচন করেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
কুমিল্লায় বক্তব্যে ডা. তাহের বল্রন, ফ্যাসিবাদ হটানোর সময় আমাদের কোন বিভাজন ছিল না। কে আলেম কে জালেম, কে সাধারণ জনতা, কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, কোন বিভাজন ছিল না। সেই যুদ্ধে একটি সিদ্ধান্ত ছিল; আধিপত্যবাদী হাসিনাকে হটাতে হবে। এখন আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে। আরেকটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোন আদর্শহীন মানুষকে আমরা ভোট দেব না। আমরা দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারী, লুণ্ঠনকারী, অনৈতিকভাবে অধঃপতিত কাউকে ভোট দেবো না।
ডা. তাহের বলেন, যারা শহীদ হয়েছে তাদের পরিবার ও যারা হতে হয়েছে তাদেরকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। সরকার অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। অগ্রাধিকার কি হবে সরকারকে তার সিলেক্ট করতে পারছে না। আমরাও তাদেরকে নানান পরামর্শ দিচ্ছি কিন্তু সেসকল পরামর্শ তারা সঠিকভাবে পালন করছে না।
কুমিল্লা মহানগর এর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাহাবুবুর রহমান ও সরকারি সেক্রেটারি কামরুজ্জামান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতে ইসলামের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা মহানগর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আবু রায়হানসহ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা উপজেলার জামায়াত, খেলাফতে মজলিস, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/ এমএস