ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদে কচুরিপানার অতিরিক্ত জটে তিতাস নদী পুরোপুরি ঘিরে ফেলেছে, যার ফলে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও কচুরিপানার জট এতটাই চাপা যে, অনায়াসে এর ওপর দিয়ে হেঁটে নদীর এপার থেকে ওপারে যাওয়া যায়। এর উপর জন্মেছে পরগাছা, যা নদীর পানি আরও দূষিত করছে। দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন এবং জীববৈচিত্র্য চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ফরদাবাদে এক সময় তিতাস নদীতে নৌযান চলাচল করতো এবং দেশীয় মাছের জন্য বিখ্যাত ছিল। বিশেষ করে পাবদা, সরপুঁটি, বোয়াল, শিং, মাগুর, কই, শইল, ফইলা, চিতল মাছ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে নদীটি কচুরিপানার জটে আচ্ছাদিত হওয়ায় মাছ শিকার বন্ধ হয়ে গেছে এবং নদীর পানি সম্পূর্ণ দূষিত হয়ে পড়েছে।
কচুরিপানার কারণে নদীর পানি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মাছ মরে যাচ্ছে এবং নদীতে মাছ শিকার বন্ধ হয়ে গেছে। হাজারো জেলে পরিবার এখন অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। ফরদাবাদ ও গোকুলনগর এলাকার জেলেরা জানান, প্রায় এক হাজার জেলে ও মৎস্য চাষী এই নদী থেকে জীবিকা নির্বাহ করতেন, কিন্তু বর্তমানে কচুরিপানার কারণে তাদের জীবিকা সংকটের মধ্যে পড়েছে। তারা কচুরিপানা অপসারণের দাবি জানাচ্ছেন, যাতে নদীটি আগের মতো মাছ শিকারের উপযোগী হয়।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা সাইদা ইসলাম জানান, এই এলাকায় এক সময় মাছ উৎপাদন ছিল অত্যন্ত সুনাম। কিন্তু বর্তমানে কচুরিপানার কারণে তিতাস নদীতে মাছ চাষ সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, কচুরিপানা অপসারণের জন্য আমি একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েছি, কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
কেকে/এমে