নিখোঁজের একদিন পর পটুয়াখালীর দশমিনায় তরমুজ ক্ষেতের টঙ ঘর থেকে এক অটোরিকশা চালকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড চাঁদপুরা গ্রামের রুহিতপুর এলাকায় নাসির হাওলাদারের তরমুজ ক্ষেত সংলগ্ন উত্তর পাশে টঙ ঘরের ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মহিউদ্দিন ঈসা (১৯) সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ইটবাড়িয়া গ্রামের জাফর ফকির ও সাহিদা বেগম দম্পতির মেঝো ছেলে। প্রায় ছয় মাস আগে বিবাহ করেন ঈসা।
জানা যায়, বুধবার সকালে স্থানীয়রা ওই টঙ ঘরের মধ্যে খড়কুটা দিয়ে ঢাকা মানুষের অস্তিত্ব লক্ষ্য করেন এবং আশপাশে রক্ত দেখতে পান। বিষয়টি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্যকে জানান তারা। পরে ওই জনপ্রতিনিধিরা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত হিসেবে লাশের সুরতহাল করে পুলিশ। এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ইউনিটের একটি দল এসে লাশের আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করেছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওইদিনই সন্ধ্যায় এসে লাশ শনাক্ত করেন স্বজনরা।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকেই ঘটনাস্থলের কাছে রাস্তায় একটি অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন ঈসা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়িতে না ফিরলে যোগাযোগ করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে ও পরের দিন বুধবার সকাল থেকে পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখোঁজির একপর্যায়ে বিকাল ৪টার দিকে বনানী মোড় এলাকায় লোকজনের কাছে জানতে পারেন তারা ফেসবুকে দেখেছে দশমিনার আলীপুরা ইউনিয়নের রুহিতপুর এলাকায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পেয়েছে পুলিশ। পরে সেখানে গিয়ে ঈসার লাশ শনাক্ত করেন স্বজনরা।
পুলিশ জানায়, লাশের শরীরের বিভিন্ন অংশে অনেকগুলো কোপের দাগ ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দা, এক জোড়া জুতা, লাশের পকেট থেকে অটোরিকশার চাবি ও রাস্তায় পড়ে থাকা অটোরিকশাটি জব্দ করেছে পুলিশ।
দশমিনা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আলীম ছুটিতে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই মাহামুদুল হাসান বলেন, লাশ উদ্ধার করে বুধবার সন্ধ্যার পরে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। বৃহস্পতিবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে।
কেকে/এএম