‘নারায়ণগঞ্জ থেকে ফ্যাসিবাদের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলা হবে’ এমন ঘোষণা দিয়ে আদালতপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কয়েকটি ম্যুরাল ভাঙার পরে রাতে ভেঙে ফেলা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির অন্যতম স্মৃতিচিহ্ন বায়তুল আমান।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন ঘোষণা দিয়েছিলেন বিকালে বায়তুল আমানও ভেঙে ফেলা হবে। বায়তুল আমান নারায়ণগঞ্জের একসময়ের প্রভাবশালী পরিবার শামীম ওসমানদের পৈত্রিক বসতবাড়ী।
এদিন সন্ধ্যায় ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। পরে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিতে শুরু করে। খবরটি মুহূর্তেই নারায়ণগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ে। শত শত মানুষ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ব্যস্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
শামীম ওসমান পরিবারের দাবি, চাষাড়ায় এই বায়তুল আমানে আওয়ামী লীগের জন্ম। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন ওসমান পরিবারের সদস্যরা। তবে বঙ্গবন্ধুর লেখ অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও গোয়েন্দা নথিপত্রে উল্লেখ রয়েছে, বায়তুল আমানে সভাটি হওয়ার কথা থাকলেও ১৪৪ ধারা জারি করায় ওইদিন সভাটি হয়েছিল মিউচুয়েল ক্লাবে। তবে আওয়ামী লীগের (তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ) কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল রোজ গার্ডেনে।
কেকে/এজে