তামিম ইকবাল আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য নির্বাচকদের বিবেচনায় থাকলেও দল ঘোষণার আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না ফেরার ঘোষণা দেন তিনি। ফলে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া হয়নি তার। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এই তারকাকে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আগামীকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের এবারের আসরের ফাইনাল। এই ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে তামিমের জন্য বিশেষ আয়োজন করবে বিসিবি।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেটে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এসময় তামিমের হাতে বিদায়ী স্মারক তুলে দেওয়া হবে।
২০২৩ সালের জুলাইতে বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের চমকে দিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। নাটকীয়ভাবে একদিন পরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে তিনি ফের ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দেন। এরপর ক্রিকেটে ফিরে বাংলাদেশের জার্সিতে ম্যাচও খেলেছেন। তবে গত ১০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে বিদায় জানান তিনি।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে তামিম লিখেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেকদিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ। অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।
‘এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই। তারপরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যেকোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।’
‘অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।’
২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তামিমের। তিন সংস্করণ মিলে তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮৭ ম্যাচ ও ৪৪৮ ইনিংসে ১৫১৯২ রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ৯৪ ফিফটি ও ২৫টি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
কেকে/এজে