রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামানের উপশহর এলাকার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা এক্সকেভেটর দিয়ে বাড়িটি ভাঙচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা একটি এক্সকেভেটর নিয়ে উপশহরে সাবেক সিটি মেয়র খারুজ্জামান লিটনের বাস ভবনের সামনে যায়। প্রথমে গেট দিয়ে ভাঙচুর শুরু করা হয়। এরপর বাড়ির পশ্চিম দিকে এবং সামনের অংশ এক্সকেভেটর দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় স্থানীয়দের উল্লাস করতে দেখা যায়। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বাড়ি ভাঙচুর চলাকালে এক্সকেভেটরের দুটি দাঁত ভেঙে গেলে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
ভাঙচুরের সময় উপস্থিত জনতা জানায়, দুর্নীতির টাকা দিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাই দুর্নীতির চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করতে বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা ওইদিন বাড়িটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে তার আগেই স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে গা ঢাকা দেন সাবেক এই মেয়র। তখন থেকে মেয়রের তিনতলা বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। পুলিশ ও গোয়েন্দারা লিটনকে গ্রেফতারের তৎপরতা দেখালেও এখন পর্যন্ত তার অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি।
এদিকে সাবেক মেয়র লিটনের বাড়ি ভাঙার আগে এক্সকেভেটর দিয়ে উপশহরে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। তারও আগে নগরীর সিএন্ডবির মোড়ে বঙ্গবন্ধুর বিশালাকৃতির একটি ভাস্কর্য ভাঙার সময় সেনাসদস্যরা তাদের বাধা দিলে তারা পিছু হটে।
কেকে/এএস