আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত বিএনপি নেতা সুলতান (৪৫) সুলতান নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে ও এক নম্বর ওয়ার্ড (গচিয়ার পাড়া-খলিশা পাড়া) বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক।
বুধবার রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের ফকিরপাড়া মোড়ে এ সংঘর্ষ হয়। সে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন সুলতান। পরে ২৮ অক্টোবর সুলতানের ছেলে পলাশ বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামি গচিয়ার পাড়া গ্রামের ভরসা আলীর ছেলে সোহরাবকে (৬০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া-গচিয়ার পাড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের ৫ থেকে ৬ জন আহত হয়েছে।
এসময় গুরুতর আহত হন সুলতান। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেলে রেফার করেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, এই ঘটনায় সোহরাব নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।
কেকে/এমআই