বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা কারো হুকুম মেনে চলব না বরং আমরা নিজেরাই আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব এবং দেশ চালাব।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাড্ডা থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী-বাকশালীদের বিরুদ্ধে আইন তৈরি করে সকল খুন, গুম ও জুলাই গণহত্যার বিচার করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়ে শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশে পলায়ন করলেও তাদের পক্ষ থেকে দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তার মতে, দেশি ও বিদেশি শক্তি এই ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইন্ধন জোগাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা এবং তার দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করে অর্জিত বিপ্লব ও অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
সেলিম উদ্দিন বলেন, নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে তাদের প্রতিভূদের পরিকল্পিতভাবে মাঠে নামিয়ে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, কর্মপরিষদ সদস্য হেদায়েতুল্লাহ এবং বাড্ডা থানা আমির কুতুব উদ্দিন, আ. সবুর ফরহাদ, মাসুদূর রহমান রানা প্রমুখ।
সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিলটি উত্তর বাড্ডা ওভার ব্রিজের নিচ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেরুল বাড্ডার ইউলোপের নিচে এসে পথসভা মাধ্যমে শেষ হয়।
সেলিম উদ্দিন জামায়াতে ইসলামীকে দেশের কল্যাণে ৫৩ বছর ধরে কাজ করে আসা একটি সংগঠন হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জামায়াত মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ সৃষ্টি, আত্মগঠন, চরিত্র সংশোধনসহ মানবীয় উন্নয়নে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াত দেশ ও জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য দেশে অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে এবং জনগণের সেবায় বিভিন্ন জনহিতকর প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে।
তিনি দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, এখন দেশে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। সেলিম উদ্দিন আরো বলেন, চাঁদাবাজী ও টেন্ডারবাজির চেয়ে ভিক্ষাবৃত্তিই উত্তম।
তিনি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
কেকে/এএম