আগে চব্বিশের গণহত্যার বিচার, তারপর অন্য কাজ করতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, এ বিচার না হলে শহিদদের আত্মার সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। তাদের আত্মা কষ্ট পাবে। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলার, সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে চলার সুযোগ পেয়েছি তাদের সঙ্গে বেঈমানি করতে পারব না।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কক্সবাজারে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান, একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতার পর সব দেশ মাথা তুলে দাঁড়ায় কিন্তু বাংলাদেশ কেবল পিছিয়েছে। দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা পায়নি জনগণ। একেক সময় একটি দল দেশের জনতাকে পরাধীন করে রেখেছিল। এসব দলের মাঝে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রাচীন দল আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ফ্যাসিবাদী আচরণে দেশের মানুষকে ভোগান্তি দিয়েছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচন আয়োজনের আগে বিডিআর হত্যাসহ নানান অপকর্মে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার বিচার শেষ করা এখন সময়ের দাবি।
জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী আচরণ ও খুনি হাসিনার অপকর্ম থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা ও বিদেশে বসে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ ষড়যন্ত্র করছে। আমরা কারও উসকানিতে পা দেব না- তবে, বৈষম্যহীন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতার যুদ্ধ শেষ হবে না।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে সব ধরনের দখলের অভিযোগ শোনা যায়। যেখানে দুর্বৃত্তপনা থাকে সেখানে রাজনীতি থাকে না- সেটা অন্য কিছু। রাজনীতির ছায়ায় দখলবাজি রাজনীতি হতে পারে না।
জামায়াতের এ নেতা বলেন, পর্যটন রাজধানী হিসেবে কক্সবাজার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হলেও এখানে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। বৈষম্যের শিকার জেলাগুলোতে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া জামায়াতের মূল দায়িত্ব। দেশ আবারো কোনো ফ্যাসিস্টের হাতে যেন না যায় সেটা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে সহকারী সেক্রেটারি এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ ও মোহাম্মদ শাহজাহান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ধর্মের ট্রাস্টি পরিমল কান্তি, কক্সবাজার সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম ও প্রচার সেক্রেটারি আল আমীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আহসান উল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, সাবেক জেলা আমির মোস্তাফিজুর রহমান, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী, জেলা নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, জেলা সহ-সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, শামসুল আলম বাহাদুর, কর্মপরিষদ সদস্য শফিকুল হক জিহাদি, শহর আমির আবদুল্লাহ আল ফারুক, সাবেক মেয়র সরোয়ার কামাল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সলিম উল্লাহ বাহাদুর, শহিদুল আলম বাহাদুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এজে