‘শিশিরের মতো নির্মল হও প্রাণ, কুয়াশায় ভিজে মুক্ত অনির্বাণ।’ এই থিমকে সামনে রেখে ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপী বিখ্যাত ‘কুয়াশা উৎসব-১৪৩১’।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাগ সংগীত ও পিঠা-পুলির আসরের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হয়। ২০১৯ সালে প্রথম কুয়াশা উৎসবের যাত্রা শুরু হয়। চতুর্থবারের মতো আয়োজিত এই উৎসবে মেতে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা।
এই উৎসবের মাধ্যমে গ্রামবাংলার শীতকালীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। এবারের কুয়াশা উৎসবের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- আদিবাসী নৃত্য, নজরুল উৎসর্গে নৃত্য, গান ও কবিতা, লোকগান, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, চিত্রকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, পিঠা পার্বণ উৎসব ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করা হয়, যা উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানাই। এই উৎসব যেন সবার মধ্যে মিলনমেলা ও ভাতৃত্ববোধ গড়ে তোলে এবং এই ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে সহযোগীতা করে সেই কামনা করছি।
ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা মনোজ কুমার প্রামাণিক বলেন, কোনো স্পন্সর ছাড়াই শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও আমাদের সহযোগিতায় কুয়াশা উৎসবের আয়োজন সম্ভব হয়েছে। এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বাইরের দর্শনার্থীরাও এতে যোগ দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে প্রথম কুয়াশা উৎসবের সূচনা হয়। করোনা মহামারির কারণে দুই বছর উৎসব বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে এটি পুনরায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হতে থাকে। তবে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় খেলার মাঠের পরিবর্তে চুরুলিয়া মঞ্চ, নজরুল বেদি, জয়ধ্বনি মঞ্চ ও ক্যাম্পাসের সড়কজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উৎসবের আয়োজন।
কেকে/এএম