বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মুন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সময়টা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বর্তামানে নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করছেন। খুন, গুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য গত ১৫ বছর আন্দোলন করেছি। বেগম জিয়া, তারেক রহমানসহ ওয়ার্ডের কর্মীদেরও হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। আমি নিজেও বিভিন্ন মেয়াদে ৫ বছর কারাবরণ করেছি। জুলাই আন্দোলনে হাজারেরও বেশি ছাত্র নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী দাউদকান্দির রিফাত ও বাবুকেও হত্যা করেছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় দেশে গণহত্যাকারী, খুনি ফ্যাসিস্ট এবং পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষণার দাবিতে দাউদকান্দি স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে কারণে আমরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। সে কারণগুলো বর্তমান সরকার সমাধান করতে হবে। যারা অন্যায় করেছে তাদের এখন পর্যন্ত বিচারের আওতায় আনা হয়নি। আজকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানাহ ষড়যন্ত্র চলছে। যারা পতিত ফ্যাসিবাদ ছিল তারা পালিয়ে থেকেও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা যেখান থেকে আজ নানান রকম ষড়যন্ত্র করুক না কেন আমরা জাতীয়তাবাদী দল দেশের মানুষকে নিয়ে এর প্রতিরোধ করব।
তিনি আরো বলেন, আমরা ক্ষমতায় এলে কীভাবে দেশ পরিচালনা করব। সেটা দেড় বছর আগে প্রচার করছি। যে-কোনো সময় নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করা হোক ৩০০ আসন নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে। যারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে তাদের বলছি, এ দেশের জনগন এখন বিএনপিকে জনপ্রিয় দল মনে করে। আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেদের হত্যা করেছে। তারা রাস্তাঘাটে নানান ধরনের ছবি ম্যূরাল বানিয়ে রাষ্ট্রের শতশত কোটি টাকা নষ্ট করেছে।
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেছে। তার সাথে থাকা লুটপাট কারীদের একাংশ বিভিন্নভাবে পালিয়েছে। আমরা এই সরকারকে বলতে চাই তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। না হলে তারা দেশে ষড়যন্ত্রমূলক কাজ করেই যাবে। আমরা তত্বাবধায়ক সরকারে সাথে কথা বলেছি আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সহযোগিতা করব।
কেকে/এএম