গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়ি থেকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় ছাত্র-জনতা আহত হয়। তারই প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা শহরের প্রধান সড়কে মশাল মিছিল করেছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় মশাল মিছিলটি শহরের রাজার হাট মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের এন.এস.রোড প্রদক্ষিণ করে।
এসময় তারা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি, হাসিনার ফাসি, এবং হামলায় জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়, এসময় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ায় পুলিশের নিরবতা নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে, এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘুমাচ্ছে কেন, তার ভুমিকা ও নিরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
পরে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে, মিছিলকারীরা তার কাছে প্রশাসনের নিরব ভুমিকা ও ছাত্রলীগের অপতৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা লিফলেট বিতরণ ও একত্র হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে, গুপ্ত হামলার পরিকল্পনা করছে তবুও কোনো ব্যাবস্থা নিচ্ছেনা পুলিশ।
আওয়ামী দুঃশাসনের সময় বিএনপি ও শিবিরের কোনো কর্মী বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি, তারা কোনো অভিযোগ দিলেই আমাদের বাসায় অভিযান চালানো হতো, কিন্তু এখন পুলিশ তাদের ব্যাপারে নিরব কেন, এসব প্রশ্নের জবাবে পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আজকে থেকে সারা দেশে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী নিয়ে অভিযান শুরু হচ্ছে, আমরা এবং যৌথ বাহিনী কুষ্টিয়াতে সাঁড়াশি অভিযান করে সকল সন্ত্রাসী এবং দেশ অস্থিতিশীল কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ব্যাপারে যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করবো।
জাতীয় নাগরিক কমিটি কুষ্টিয়ার পক্ষে মশাল মিছিলে অংশগ্রহণ করেন, সুলতান মারুফ তালহা, শোয়েব রায়ান, আলী মুজাহিদ, মাসুদ মর্তুজা, লিমন আহমেদ, আব্দুর রাশেদ রিংকু, রাসেল পারভেজ।
এছাড়াও বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলো হাসিবুর রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, হাফেজ আল মাসুম, আবু সায়েদ শ্রেষ্ঠ, জহির রায়হান, আফ্রিদি প্রমুখ
কেকে/ এমএস