নিখোঁজের তিন দিন পর মেঘনা নদীর গজারিয়া অংশ থেকে এক নৌশ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নিহত নৌশ্রমিকের নাম স্বপন মিয়া (৩৩)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার মিরাজ মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
তিনি এমভি ‘আল্লাহ ভরসা-৪’ নামে একটি বাল্কহেডে সুকানি হিসেবে কাজ করত।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বালুয়াকান্দি তেতৈতলা পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় বেশ কয়েকটি বাল্কহেড নোঙর করা ছিল। স্বপন যে বাল্কহেডে কাজ করত সেটি নদীর তীর থেকে কিছুটা দূরে ছিল। অন্য একটি বাল্কহেডের ওপর দিয়ে সেখানে যেতে হতো।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বপন অন্য একটি বাল্কহেড থেকে লাফ দিয়ে তার বাল্কহেড যাবার সময় নদীতে পড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া না যাওয়ায় বিষয়টি নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। এদিকে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে তার লাশ ভেসে উঠলে সেটি উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
নিহতের সহকর্মী আকির হোসেন বলেন, একটি বাল্কহেড থেকে আরেকটি বাল্কহেডে লাফ দিয়ে যাওয়ার সময় পা পিছলে তিনি নদীতে পড়ে যায়। আমার ধারণা মাথায় প্রচণ্ডভাবে আঘাত পেয়ে তিনি তলিয়ে যান। যেখানে তিনি তলিয়ে গিয়েছিলেন আজ তার দেড়/দুইশ গজ দূরে তার লাশটি ভেসে ওঠে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিহত নৌ শ্রমিকের মামাত ভাই ফরিদ হোসেন বলেন, খবর পাওয়া মাত্র আমরা এখানে ছুটে আসি। গত তিন দিন আমরা এখানেই অবস্থান করছিলাম। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে লাশ ভেসে উঠলে আমরা সেটি উদ্ধার করি এবং নৌপুলিশকে খবর দিই।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুব আলম বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
কেকে/এএস