চার দফা দাবিতে লংমার্চ নিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১১ শিক্ষার্থী ।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হয়।
আহতরা শিক্ষার্থীরা হলেন– নওগাঁ ম্যাটসের মেহরাব (২০) প্রাইম ম্যাটসের এরশাদুল হক (৩০), শ্যামলী ম্যাটসের জাহিদুল হাসান (২৬), সোহাগ (২২), আমানুল্লাহ (২০), ট্রমা ম্যাটসের সায়মা (২১), সুমাইয়া খাতুন (২০), তাহমিনা আক্তার তমা (২০), বরিশাল জমজম ম্যাটসের মোহাম্মদ রাসেল (২৩), গাজীপুর ম্যাটসের শিহাব (২০) ও কুষ্টিয়া ম্যাটসের আরাফাত (২১)।
এর আগে, সকাল ১১টার দিকে শাহবাগে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। এ সময় টিএসসি থেকে শাহবাগে আসার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বিকেলে আলোচনা করতে শাহবাগ থেকে শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে সচিবালয়ে নিয়ে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী। এরমধ্যেই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন শাহবাগে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, দেশে ১৬টি সরকারি এবং ৫১টি বেসরকারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল আছে। এসব ট্রেনিং স্কুল থেকে তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করলে শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিগ্রি পান। এরা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।
কেকে/ এমএস