ঘরের মধ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করার পর জানালার গ্রিল কেটে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সোনার গহনা ও নগদ টাকা লুট করা হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ চুপড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই পরিবারের চার সদস্যকে সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অজ্ঞান হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ চুপড়িয়া গ্রামের মন্তেজ সরদারের ছেলে সার ও কীটনাশক বিক্রেতা মুজিবর রহমান (৫৫), তার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা (৪৫), তাদের মেয়ে ফারজানা আক্তার (২৫) ও জামাতা মনির খান (৩০)।
দক্ষিণ চুপড়িয়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ঝাউডাঙা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান জানান, তার চাচা মুজিবর রহমানের খালিদ এন্টারপ্রাইজ নামে বাড়ি সংলগ্ন সার ও কীটনাশক বিক্রির একটি দোকান রয়েছে।
রবিবার রাত ১১টার পর চাচা মুজিবর রহমান, চাচি মেহেরুন্নেছা, চাচাত বোন ফারজানা ও দুলা ভাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী ব্যবস্থাপক মনির খাঁন খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তার চাচাত ভাই মনিরুলের দুই বছরের বাচ্চা মোবাশ্বের রহমান অসুস্থ হয়ে পড়ায় চাচা মুজিবর রহমানকে ডাকাডাকি করা হলে সাড়া মেলেনি।
ওয়ারড্রপ, আলমারি, শোকেজ ভাঙা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে বিভিন্ন জিনিসপত্র। গভীর রাতে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা জানালা দিয়ে চেতনানাশক স্প্রে করে পরিবারের চারজনকে অচেতন করে সোনার গহনা ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে বলে তিনি মনে করছেন। তবে মুজিবর রহমানের চেতনা না ফেরা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে না।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অসীম কুমার সরকার জানান, মুজিবর রহমানসহ তাদের পরিবারের চারজনের চেতনা কখন ফিরবে তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। তবে মনির খানের বাচ্চা সওদামনি আশঙ্কামুক্ত।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ও সদর হাসপাতালের উপপরিদর্শক মেহেদী হাসানকে পাঠানো হয়েছে।
কেকে/এএস