বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে যমুনা সেতু পশ্চিম পাড় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সংগঠনটির একটি অংশের শিক্ষার্থীরা। এঘটনায় ঢাকাসহ উত্তরের ১৬ জেলার যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন।
সোমবার (১০ ফ্রেব্রুয়ারি) বিকাল চারটা থেকে যমুনা সেতু পশ্চিম পাড় মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে আন্দোলনকারীরা।
অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ সিরাজগঞ্জের কমিটি ভুয়া ভুয়া, ভুয়া কমিটির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।
আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় কমিটি যতোক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই দাবি না মেনে নেবে, ততোক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে অবরোধ কর্মসূচির পালনের ৪০ মিনিট পার হলে মহাসড়ক জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ি দেখা যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী শ্রমিকরা।
এর আগে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড় মহাসড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করেন। মুহূর্তেই ওই সড়কে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন বহু যাত্রী।
তবে এর কিছুক্ষণ পর ‘দুর্ভোগ’ এড়াতে কর্মসূচি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছেড়ে দেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলা প্রধান সমন্বয়ক মুনতাসীর মেহেদী বলেন, বৈষম্য দূর করতে আমরা অকাতরে জীবন দিয়েছি। আর সেই আন্দোলনের জেলা কমিটি ঘোষণায় বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। আমরা এই বৈষম্যমূলক কমিটির বিলুপ্তি দাবি জানাচ্ছি।
তিনি জানান, দাবি আদায় না হলে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার পরে চার ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সজিব সরকারকে আহবায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব, ইকবাল হাসান রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টিএম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়েছে।
কেকে/ এমএস