ফেসবুকে মানবসেবামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত পারভেজ হাসান বাস্তব জীবনে একজন কুখ্যাত প্রতারক। নিজের পরিচিতি কাজে লাগিয়ে ব্যবসা ও বিনিয়োগের নামে বহু মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেফতার করে আদাবর থানা পুলিশ।
ফেসবুকে সহমর্মিতা ও মানবতার সেবক হিসেবে পরিচিত পারভেজ ‘সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি দাতব্য কাজের নাম করে মানুষের আস্থা অর্জন করেন। কিন্তু বাস্তবে তার উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
এছাড়া তিনি ‘লা-লিগাসি হোলসেল’ নামে একটি ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মেহেজাবিন, শাহানা আক্তার, লিপি আক্তার, নোভেল মাহমুদ ও নূহা আক্তারের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেন। টাকা চাইতে গেলে শুরুতে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখান এবং পরে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন।
ভুক্তভোগী মেহেজাবিন টাকার জন্য একাধিকবার পারভেজের কাছে যোগাযোগ করলেও তিনি প্রতিবারই টালবাহানা করেন। একপর্যায়ে মেহেজাবিন আদাবর থানায় মামলা করেন। মামলার পর পারভেজ তাকে এবং অন্যান্য বাদীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন।
মেহেজাবিন বলেন, আমাদের টাকা ফেরত না দিয়ে পারভেজ উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মানহানির ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন হুমকি দিয়েছে। তার কারণে আমরা পরিবারে আর্থিক সংকটে পড়েছি এবং মানসিক চাপে রয়েছি।
পারভেজ ‘পিএইচ ট্রাভেলস এভরোট’ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশে লোক পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে আরও অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানিয়েছেন, পারভেজের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য বিষয় এবং সহযোগীদের খুঁজে বের করার কাজ চলছে।
কেকে/এএম