ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের তুজারপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্বার করে পাশ্ববর্তী ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় এক হতদরিদ্রের একটি দোকান ঘরসহ ২০/২৫ টি ঘর ব্যাপক ভাংচুর এবং লুটপাটের শিকার হয়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুই পক্ষের গ্রামবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে ঢাল, সরকি, রামদা প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই গ্রামের ওহাব ভূইয়া দলের সাথে প্রতিপক্ষ রাজু মীর ও ওমর মাতুব্বর দলের সাথে দীর্ঘ্যদিন যাবৎ দ্বন্দ- সংঘাত চলে আসছিল। গতকাল রোববার ওহাব ভূইয়া দলের জনৈক ইমন ভূইয়াকে প্রতিপক্ষরা মারধোর করে। এরই জেরে দুই পক্ষের গ্রামবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে ঢাল, সরকি, রামদা প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এলাকায় রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। দুই ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে নারী সহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
সংঘর্ষে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও হামলার শিকার হতদরিদ্র গৃহবধূ আখি বেগম জানান, ভূইয়া লোকজন ৪০/৫০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে আমার উপর সময় হামলা চালিয়ে আমার বাড়ি ঘর করে সব কিছু লুটে নিয়ে গেছে।
দোকান ভাংচুরের শিকার মনোয়ারা বেগম বলেন, আমার এই দোকানটিই ভরসা। সব কিছু মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে এবং টাকা পয়সা সহ সব কিছু নিয়ে গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ২৫/৩০ টি বাড়ী ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার এস আই রতন ও এস আই আফজাল হোসেন সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোকসেদুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করে ৩ জনকে আটক করেছে।
কেকে/ এমএস