প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুভূতির একটি দিন। অথচ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) গত তিন বছরে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয়নি।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠান আয়োজনের দাবি থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে আয়োজন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণের স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৯ সালে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয়ভাবে নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। এরপর ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন সমস্যার অজুহাত দিয়ে আয়োজন করা হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নবীনবরণ অনুষ্ঠানে অনুষদের ডিন ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা আনুষ্ঠানিকভাবে নবাগত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য বরণ করে নেন। অনুষ্ঠানে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার শপথবাক্য পাঠ করান। প্রধান বক্তার বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন সম্পর্কে অবগত করেন। তবে ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও প্রশাসনের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা না থাকায় অনুষ্ঠান আয়োজন দৃশ্যমান হয়নি।
নবীনবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন না হওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কৃষি বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ বলেন, বিগত বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন প্রতিটি ক্ষেত্রে চরম ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছেন। তার অন্যতম উদাহরণ নবীনবরণ অনুষ্ঠান। তারা বিভিন্ন স্থানে অহেতুক টাকা ব্যয় করলেও এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামের জন্য তারা আগ্রহী থাকে না। নতুন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের কাছে দাবি তারা যেন এই বিষয়ে নজর দেন।
এই বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসানকে প্রশ্ন করলে তিনি আস্বস্ত করে বলেন, ‘আমি রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলেছি। বিগত বছরগুলোতে না হলেও এই বছর নবীনবরণ হবে। আগামী ১১ নভেম্বর হবে আশাকরি। রোবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বিস্তারিত আলোচনা করবো।’
কেকে/এজে