খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় একটি এতিমখানার টিনশেড ঘরে অগ্নিকাণ্ডে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে একটি পবিত্র আল কুরআন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ঘরের টিন থেকে শুরু করে আসবাবপত্র সবকিছু পুড়ে গেছে, পুড়েছে কুরআন শরিফের চারপাশ তবে অক্ষত রয়েছে পবিত্র আল কুরআনের মূল অংশ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাদ্রাসার ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
এর আগে সোমবার বিকালে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, বেডিংসহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একইসঙ্গে মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক আবুল কাশেমের শিক্ষা জীবনের সব সার্টিফিকেটসহ মাদ্রাসার গুরুত্বপূর্ণ দলিল পুড়ে যায়।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও এতিমখানায় থাকা কুরআন শরিফের ভেতরের অংশ পুড়েনি। স্পষ্ট কুরআনের অক্ষর দৃশ্যমান। এ ঘটনা দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি বড় শিক্ষা। আল্লাহর প্রতি আমাদের বিশ্বাস ও ভরসা আরো দৃঢ় হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আবুল হাসেম জানান, আগুনে কুরআন শরিফ পুড়েনি এমন ঘটনা শুনেছি কিন্তু আজ নিজের চোখে দেখলাম। কুরআন শরিফের কভারসহ আশপাশ কিঞ্চিৎ পুড়ে গেলেও স্পষ্ট কুরআনের আয়াত দেখা যাচ্ছে।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জামাল হোসেন জানান, মাদ্রাসার পুরো ঘর পুড়লেও আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে কুরআন শরিফ অক্ষত রয়েছে। পবিত্র কুরআন শরিফ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নিরাপদে রাখেন, এটাই বাস্তব প্রমাণ।
এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক আবুল কাশেম বলেন, আমিও দেখেছি অলৌকিকভাবে কুরআন শরিফ পোড়েনি। এটা আল্লাহর কুরআন সে জন্য তিনিই তার হেফাজতকারী।
কেকে/এএস