ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় অপহৃত স্কুল ছাত্রী লুবনা মনিকে(১৪) উদ্ধার ও মামলার প্রধান আসামি রাকিব, দুলাল ও হাসিনাসহ জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অপহৃত শিশু লুবনা মনির মা মানসুরা, বাবা দিলবার হোসেন, মামা রিপনসহ পরিবারের লোকজন। তাদের অভিযোগ প্রতিবেশী বখাটে রাকিব, তার বাবা দুলাল, মা হাসিনা কেরানীগঞ্জের বসবাস করা সাংবাদিক পরিচয় দানকারী ফরিদের সহায়তায় তাদের মেয়েকে অপহরণ করে।
শিশুর মা জানান আমার স্বামী একজন প্রবাসি, আমার একমাত্র মেয়ে লুবনা মনিকে গত ৩ ফেব্রুয়ারী আসামি মো. রাকিব মো. দুলাল, হাছিনা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আমার বাড়ির সামনে থেকে সিএনজিতে করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় সেদিনই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় জিডি করি। পরবর্তীতে আমি গত ৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) আসামীদের নামে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় স্বশরীরে হাজির হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ মামলা করি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আসামিরা পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ তাদেত গ্রেফতার করছে না। আমাদের ধারণা সাংবাদিক শেখ ফরিদের কারণেই পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করছে না। আমরা ফরিদসহ মামলায় জড়িত সকলকে দ্রুত সময়ে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি এবং আমার মেয়ে লুবনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
লুবনার মামা রিপন জানান, স্কুলে যাওয়ার পথে রাকিব আমার ভাগনিকে প্রায়ই উত্যক্ত করত। মেয়ে এ বিষয়টা আমাদের জানালে আমরা ছেলের মা হাসিনা বেগমকে জানাই। তাহারা বিষয়টা গুরুত্ব না দিয়ে আমাদেত বাড়ি এসে বিবাহের প্রস্তাব দেয় এতে আমরা রাজি না হলে তাহা বলে যে, যেকোন উপায়ে তোদের মেয়েকে আমরা অপহরণ করে নিয়ে যাবো। এ বিষয়টি আমরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অবগত করলে গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে থানা কর্তৃপক্ষ উভয়পক্ষকে ডেকে ষ্ট্যাম্পে লিখিত করে একটা আপোষ মীমাংসা করে যে উক্ত বিষয়ের পুনরাবৃত্তি হবে না। কিন্তু আসামীগণ পরবর্তীতে সেই আপোষ মীমাংসা না মেনে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমি আমার দায়েরকৃত মামলায় আসামীদের গ্রেফতার করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিকবার গেলেও থানা কর্তৃপক্ষ নানান অজুহাতে আসামীদের গ্রেফতার করছে না বা আমার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আমি নিরুপায় হয়ে সংবাদ সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি। আর এর পেছনে সকল কলকাঠি নেড়েছে সাংবাদিক নামধারী শেখ ফরিদ। তাকে আইনের আওতায় আনলে মেয়ে পাওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কেকে/এজে