‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ তৃতীয় দিনে অভিযান পরিচালনা করার সমসয় যৌথবাহিনীকে লক্ষ করে ককটেল নিক্ষেপ করে সন্ত্রাসীরা। এসময় ১০-১২ জন সন্ত্রাসী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ইমাম হোসেন ও নবীর উদ্দিন নামে দুইজন অস্ত্রধারী শীর্ষ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকালে হাতিয়া থানায় যৌথবাহিনীর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নৌ কন্টিনজেন্ট হাতিয়া কমান্ডার আফসার আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সোমবার দিবাগত রাতে হাতিয়া উপজেলার ৬নং চরকিং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কলেজ রোডের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক মো. ইমাম হোসেন(৫০) উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বাইশ নং গ্রামের হাজী আব্দুল মতিনের ছেলে এবং মো. নবীর উদ্দিন(৫০) একই গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে।
আফসার আহমদ বলেন, সোমবার রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাতিয়া নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশের একটি চৌকষ টিম ৬নং চরকিং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কলেজ রোডের হাজী আবুল বাসার মার্কেটের বিপরীতে কাউসার ব্রিক ফিল্ডের সামনে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা ব্রিকফিল্ড সংলগ্ন মাঠ হতে ককটেল নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে যৌথবাহিনী ২৪ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে ঘটনাস্থল থেকে মো. নবীর উদ্দিন ও মো. ইমাম হোসেন নামের দুইজনকে অস্ত্রসহ আটক করে।
এসময় তাদের কাছে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ম্যাগাজিন সহ ১ রাউন্ড গুলি, ৩টি একনলা দেশীয় বন্দুক, ৮টি কার্তুজ, ২০টি ককটেল, ২টি ডেগার, ৩টি কিরিচ, ১ টি তলোয়ার উদ্ধার করা হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একই সঙ্গে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কেকে/এজে