ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যুক্তরাজ্য পাঠানোর নামে সিলেটে ছয়জনের কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক।
প্রথমে স্ট্যাম্পে লিখে ২ লাখ করে ১২ লাখ এবং পরে কোনো ধরনের ডকুমেন্ট ছাড়াই আরো ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই প্রতারক। বিনিময়ে হোয়াটসঅ্যাপে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে এডিট করে পাসপোর্টে ভুয়া ভিসা সেঁটে ভুক্তভোগিদের কাছে পাঠায় প্রতারক। বিষয়টি আন্দাজ করতে পেরে প্রতারকের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও টাকা উদ্ধার করতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর এলাকার বাসিন্দা এস কে আজাদ আমিন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সিলেট মহানগরের কুয়ারপাড় এলাকার ইঙ্গুলাল রোডের ৩৭ নং বাসার বাসিন্দা সৈয়দ সাইফুর রহমানের ছেলে সৈয়দ উবায়দুর রহমান ২০২২ সালে আজাদ আমিন ও তার আরো ৫ আত্মীয়কে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যুক্তরাজ্য পাঠানোর লোভ দেখান।
আজাদ আমিন বলেন, এসময় তিনি ৬ জনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা করে ১২ লাখ টাকা নেন এবং এ বিষয়ে একটি লিখিত স্ট্যাম্পও করেন। কিন্তু ওই সময় উবায়দুর মৌখিকভাবে এই ৬ জনকে বলেন- ভিসা হওয়ার পরই আরও ৮ লাখ করে দিতে হবে এবং এসব টাকা নগদ হাতে হতে প্রদান করতে হবে। তবে এর আগে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে এডিট করে পাসপোর্টে ভুয়া ভিসা সেঁটে এই ছবি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান তিনি। এটি দেখে বিশ্বাস করেই ওই ৬ জন তার হাতে টাকা তুলে দেন।
তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে পাসপোর্ট তার হাতে রেখে ওই ছয়জনের যুক্তরাজ্য যাওয়ার তারিখ নিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে কুরিয়ারে ৬ জনের পাসপোর্ট পাঠালে ভুক্তভোগীরা হাতে পেয়ে দেখেন- পাসপোর্টে কোনো ভিসা নেই। পরবর্তীতে ওই প্রতারক টাকা ফিরিয়ে দিবেন বললেও এখন পর্যন্ত কোনো টাকা প্রদান করেননি। এমনকি ১২ লাখ টাকার কয়েকটি ব্যাংক-চেক দিলেও ওই চেকগুলো ডিজওনার হয়ে ফেরত আসে।
কেকে/এজে