গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে সেবা। এখন থেকে রোগীদের আর বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হবে না। সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করানো যাবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পুনরায় চালু হওয়া এই সেবা উপজেলার ৮ লাখ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি বিকল থাকায় রোগীদের বাধ্য হয়ে জেলা শহর, বিভাগীয় শহর বা বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে পরীক্ষা করাতে হতো। এতে সময় ও অর্থের অপচয় হতো, ফলে অনেক রোগী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে পারতেন না।
এখন থেকে প্রতিদিন রোগীরা এই সেবা পাবেন। এতে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন গর্ভবতী নারী ও অন্যান্য রোগীরা, যারা নিয়মিত আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার মাধ্যমে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে চান।
স্থানীয় বাসিন্দারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমবে। তারা চান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা হোক, যাতে গ্রামীণ জনগণ সহজেই উন্নত চিকিৎসা পেতে পারেন।
জাহানারা বেগম নামের এক সেবাগ্রহীতা বলেন, ‘আমরা এতদিন বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে বেশি টাকা দিয়ে পরীক্ষা করাতাম। এখন সরকারি হাসপাতালে অল্প খরচে এই সেবা পাওয়ায় আমাদের কষ্ট অনেকটাই কমবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক বলেন, ‘আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে সেবা পুনরায় চালুর ফলে রোগীরা সময়মতো প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে পারবেন। এতে নিরাপদ মাতৃত্ব ও সঠিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হবে। স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
উল্লেখ্য, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এতদিন স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারি পর্যায়ে এই সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এখন থেকে ধাপে ধাপে উপজেলা পর্যায়ে অন্যান্য আধুনিক চিকিৎসাসেবা চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
কেকে/ এমএস