বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী তিন পরিবার।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রুনু বেগম, পিরোজপুরের ইন্দুরকানির মো. নাসির আকন এবং মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সোহেল প্রতারিত হওয়ার মর্মস্পর্শী বিবরণ তুলে ধরেন।
রুনু বেগম জানান, তার ছেলেকে ইতালিতে চাকরির আশ্বাস দিয়ে প্রতারক চক্রটি ধাপে ধাপে ১১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। প্রথমে ভিসা প্রসেসিংয়ের নামে এক লাখ টাকা নেওয়া হয়, পরে ভিসা নিশ্চিতের অজুহাতে আরও ১০ লাখ টাকা আদায় করা হয়। কিছুদিন পর তার ছেলেকে দেওয়া হয় ভুয়া ভিসা, যা দূতাবাস যাচাই করে জাল ঘোষণা করে এবং পাসপোর্ট আটক রাখে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রুনু বেগম বলেন,‘আমি আমার সব সঞ্চয় ও ঋণের টাকা তুলে দিয়েছিলাম তাদের হাতে। এখন তারা টাকা ফেরত তো দিচ্ছেই না, উল্টো হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আমার কষ্টের টাকা ফেরতের দাবি জানাই।’
আরেক ভুক্তভোগী নাসির আকন বলেন, ইতালিতে চাকরির কথা বলে প্রতারকরা তার কাছ থেকে কিস্তিতে মোট ১৩ লাখ টাকা নেয়। পরে দেওয়া ভিসাটি ভুয়া প্রমাণিত হলে তিনি টাকা ফেরত চাইলে প্রতারকরা নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েও নির্ধারিত সময়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী সোহেল জানান, প্রতারক চক্রটি তাকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে টাকা চাইতে গেলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ জমা দিলেও এখনো কোনো প্রতিকার পাননি। তাই বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থনা করছেন। প্রতারকদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আত্মসাৎ করা টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করেন।
কেকে/ এমএস