মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একদিনেই পৃথক স্থানে একটি মৃত বন বিড়াল ও দুটি মৃত গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের কর্মীরা ঢাকা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে প্রাণীগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।
বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজারের এক ইংল্যান্ড প্রবাসী পরিবারসহ শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে আসার পথে মহাসড়কে তিনটি বন্যপ্রাণীর মরদেহ দেখতে পান। তারা বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে জানান। পরে ফাউন্ডেশনের কর্মীরা বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে প্রাণীগুলো উদ্ধার করেন।
স্বপন দেব সজল আরও বলেন, শ্রীমঙ্গলের এবি ব্যাংকের সামনে থেকে একটি গন্ধগোকুল, ৫ নম্বর কালাপুর ইউনিয়নের কাকিয়াবাজার এলাকা থেকে একটি বন বিড়াল এবং একই ইউনিয়নের ভাগলপুর এলাকা থেকে আরও একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলন্ত গাড়ির ধাক্কায় প্রাণীগুলো মারা গেছে।
এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ ধরনের বন্যপ্রাণী সাধারণত লোকালয়ে আসে না। তাহলে কেন তারা মহাসড়কের দিকে চলে এলো? এটি অবশ্যই অনুসন্ধান করা দরকার। খাদ্য সংকট, বন উজাড় বা পরিবেশগত কোনো সমস্যা এর কারণ হতে পারে। পরিবেশবিদ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) জামিল মোহাম্মদ খান জানান, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনটি মৃত প্রাণী পাওয়া গেছে। এগুলোকে যথাযথ নিয়মে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। নিশ্চিত হওয়া গেছে, তিনটি প্রাণীই গাড়ি চাপায় মারা গেছে।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও বনভূমি ধ্বংসের কারণে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসছে, যা তাদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
পরিবেশবিদরা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন- যাতে মহাসড়কে বন্যপ্রাণীর মৃত্যু রোধ করা যায় এবং তাদের জন্য নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করা যায়।
কেকে/এজে