আজকাল ভালোবাসা নিয়ে যতটা আদিখ্যেতা দেখানো হয় ততটা গুরুত্ব আর সম্মান দিয়ে সারাজীবন আগলে রাখতে পারলে ভালোবাসা সুন্দর। আর এই ভালোবাসাকে আরো সুন্দর ও আকর্ষনীয় করতে প্রতিবছর ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়।
এ দিনগুলোতে প্রিয়জনকে প্রচুর সময় দিন, জড়িয়ে ধরে তাদের হৃদয়ের স্পন্দন শুনুন। কেননা একটি ভরসাপূর্ণ আলিঙ্গন হাজারো দামি উপহারের চেয়ে অধিক মুল্যবান।
প্রিয় মানুষকে জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গনের বিষয়টা খুব সহজ ভাবলে হবে না। হাজারো না বলা কথা লুকিয়ে থাকে দুজনার নিবিড় আলিঙ্গনের মধ্যে। প্রিয়জনকে আলিঙ্গনের পর উভয়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পায়। প্রিয় মানুষকে আলিঙ্গনের ভালো দিকগুলো জেনে নিতে পারেন-
ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনার এক সমীক্ষা প্রমাণ করেছে, প্রিয়জনের সঙ্গে আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে। এতে করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
প্রিয়জনকে ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে জড়িয়ে ধরলে মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষত, খুব কাছের কোনো বন্ধু বা প্রিয়জন কেউ জড়িয়ে ধরলে মানসিক প্রশান্তি আসে।
সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সের এক সমীক্ষা বলছে, নিবিড় আলিঙ্গনের সঙ্গে কর্টিসল নামের এক প্রকার হরমোনের ক্ষরণের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কর্টিসল হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর, এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। কিন্তু নিবিড় আলিঙ্গনের ফলে হরমোনের ক্ষরণ কমে আসে এবং এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
এসব ভালো দিকের কথা যদি বাদও দেয়া হয় তারপরও কিন্তু প্রিয় মানুষকে আলিঙ্গন বা নিবিড় স্পর্শ আমরা সবাই উপভোগ করি। এর মধ্যে অনেক ভালো লাগা অনুভূতিও কাজ করে। এমনকি দুঃসময়ে ভরসা জোগায়। তাই এসব মাথায় রেখে হলেও প্রিয় মানুষকে আলিঙ্গন করার প্রয়োজন রয়েছে।
কেকে/ এমএস