মাদারগঞ্জ খাজা শাহ সূফী ইউনুস আলী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও দৈনিক সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার মাদারগঞ্জ প্রতিনিধি হৃদয় হাসানের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি মাদারগঞ্জে সমবায় সমিতির গ্রাহকদের আমানত ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এক পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণ চেয়ে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ ঘটনার ছবি সংবাদ সারাবেলা পত্রিকায় প্রকাশ করলে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত কিছু ব্যক্তি।
অন্যদিকে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের ৬৫টি দরিদ্র পরিবারের জন্য বিনামূল্যে ল্যাট্রিন বরাদ্দ করা হলেও শ্রমিক দলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন ও তার সহযোগী খাজা বগ সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে এক থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তারা সাংবাদিক হৃদয় হাসানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে।
১০ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শিমুল মোল্লার মাধ্যমে হৃদয় হাসানের বিরুদ্ধে মাদারগঞ্জ থানায় ৩৮৫/৫০৬/৩৪ ধারায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযোগ ওঠে, মামলার কোনো তদন্ত ছাড়াই তা গ্রহণ করে পুলিশ। ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর পুলিশ দ্রুত আদালতে পাঠায়।
হৃদয় হাসানের কলেজের উপাধ্যক্ষ সালেহ শাহ শফি প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করেন, ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কলেজে টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয় এবং ৯ ফেব্রুয়ারির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষাতেও হৃদয় উপস্থিত ছিল। শিক্ষার্থীদের দাবি, হৃদয় পরীক্ষার হলে থাকাকালীন সময়ে মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
হৃদয়ের বাবা আজাদ মিয়া বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ। তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কলেজে গিয়ে খোঁজ নিলেই সত্যতা পাওয়া যাবে।
সংবাদ সারাবেলা পত্রিকার জামালপুর প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান বলেন, হৃদয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা ষড়যন্ত্রমূলক। দ্রুত মামলা প্রত্যাহার এবং সত্য উদঘাটনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
মাদারগঞ্জ থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, মামলার বাদী শিমুল মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বিশাল কাহিনি, বলতে সময় লাগবে। পরে তিনি কল কেটে দেন।
সাংবাদিক হৃদয় হাসান দেশবাসীর কাছে ন্যায়বিচার চেয়ে বলেন, আমি আল্লাহর কাছে এর বিচার দিলাম।
কেকে/এএম