গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত আবুল কাশেমের (২০) মৃত্যুর খবরে কুষ্টিয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটি কুষ্টিয়া ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা কর্মীদের উদ্যোগে কফিন মিছিল ও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আবুল কাশেমের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ সংগঠন নিষিদ্ধের দাবিতে কুষ্টিয়ায় কফিন মিছিল শেষে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে গাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বৈষমবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে ১৪ জন আহত হন। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদেরই একজন ছিলেন আবুল কাসেম। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
রাত সাড়ে আটটার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে মিছিলটি রওনা হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাঁচ রাস্তার মোড়ে এসে জড়ো হয়। এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটি কুষ্টিয়া ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, ৫ ই আগস্ট হাসিনা পালালেও তার সহযোগীরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়াতে আছে, তারা এখনো দেশে বিভিন্ন ধরনের অরাজকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদেরকে দমন করতে না পারলে ৫ ই আগস্ট এর বিজয় হাতছাড়া হবে।
তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আমরা রাস্তায় রক্ত দিয়েছি প্রয়োজনে আবারো রক্ত দিব তারপরেও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কোন ঠাই হবে নাই বাংলায়। আমরা রক্তের বদলে রক্ত নেব, চোখের বদলে চোখ নেব, প্রয়োজনে জানের বদলে জান নেব, তারপরও স্বৈরাচারের কোন পেতাত্তার এই বাংলায় থাকতে দেওয়া হবে না। এসময় তারা সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ দাবি করেন। এর পর আবুল কাশেমের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
কেকে/ এমএস