বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর প্ল্যাটফর্মের প্রায় দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ও পাচারের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল হক ও তানজির আহমেদের নেতৃত্বে একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান শেষে এমন তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে নগদের প্রশাসক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ১৭০০ কোটি টাকা পাচার ও ৬০০ কোটি টাকার ই-মানি সংক্রান্ত অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদক টিম এ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করেছে। তারা যাচাই-বাছাই করে দেখবে। অন্যদিকে অভিযানে অংশ নেওয়া দুদক কর্মকর্তা তানজির আহমেদ বলেন, আমরা নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। যাচাই-বাছাই করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করব।
অভিযোগসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফএস) প্রায় পাঁচ হাজার অবৈধ এজেন্ট রয়েছে। এসব এজেন্টের মাধ্যমে গত এক বছরে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এজেন্টরা হুন্ডির মাধ্যমে ওই টাকা পাচার করেছে। এসব বিষয় সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতেই আজকের অভিযান।
এদিকে নগদে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে বনানী ১২ নম্বর সড়কে তার ওপর হামলা হয়। এতে তিনি আহত হন। হামলাকারীরা হাতুড়ি দিয়ে তার গাড়িও ভাঙচুর করে। এ ছাড়া হামলায় তার গাড়িচালক গুরুতর আহত হন।
জানা গেছে, অভিযান পরিচালনা করে দুদক চলে যাওয়ার পর মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার অফিস থেকে বের হয়ে গুলশানে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাকে অনুসরণ করে একদল দুর্বৃত্ত। তার ব্যক্তিগত গাড়ির সামনে থেকে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালক আহত হন, গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এরপরে বদিউজ্জামান দিদারের ওপর হামলা চালায় দুর্বত্তরা। মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার জানান, তাকে আঘাত করা হয়েছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, নগদের প্রশাসকের ওপর হামলা হয়েছে। তাকে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় এটা মোকাবিলা করা হবে।
কেকে/এআর