আকাশছোঁয়া স্বপ্ন আর বুকভরা আশা নিয়ে প্রবাসের উদ্দেশে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল রুবেল হাসান রাফির।
২৮ বছর বয়সি সদা হাস্যোজ্জ্বল রুবেল হাসান রাফি প্রবাস জীবনের পরিবর্তে ঘুমিয়ে আছে পরোপারের জীবনে। গত ২ ফেব্রুয়ারি তার জীবন প্রদীপ নিভে যায় রহস্যময় মৃত্যুর মাধ্য দিয়ে।
নিহত রাফির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত রাফি ১ ফেব্রুয়ারি তার নিজ বাড়ি মতলব থেকে কর্মস্থল নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হয়ে ছিল। ঐ দিন নোয়াখালী না গিয়ে চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগ এলাকায় নিউ হোটেল রূপসী নামের একটি আবাসিক হোটেলে অজ্ঞাত এক বন্ধুর সঙ্গে রাতযাপন করে।
হোটেল ম্যানেজারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাফির সঙ্গে রাতযাপন করা তার ওই অজ্ঞাত বন্ধু ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে হোটেল ত্যাগ করে। দীর্ঘ সময় পর দুপুরের দিকে হোটেলের নিয়মিত টেক আউট তল্লাশিকালে স্টাফদের নজরে আসে ৯ নম্বর কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকা রাফির লাশ। বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে জানায়।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহার মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পুলিশ হোটেল এবং আশপাশের সিসি ক্যামেরাগুলো যাচাই করে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড?
ওসি আরো বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলে প্রতীয়মান হওয়ায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ঘটনার আগের দিন ভিকটিমের সঙ্গে তার এক বন্ধু হোটেলে থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কেউ জড়িত আছে কিনা আমরা খতিয়ে দেখছি। ভিকটিম এবং তার ওই বন্ধুর মোবাইল এখনো নিখোঁজ রয়েছে, আমরা ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।
ঘটনার কোনো তথ্য ও সূত্র পেলে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএস