সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,
১২ ফাল্গুন ১৪৩১
বাংলা English

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: পদত্যাগের গুঞ্জনে যা বললেন নাহিদ ইসলাম      এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি বা এর ওপরে রাখতে পরিপত্র জারি      ২৪ ঘন্টায় অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ৫৮৫      সরকার সম্ভবত লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হচ্ছে: তারেক রহমান      বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয় ‘উগ্র বাম কমিউনিস্টদের’ ভোট দিতে      আগে স্থানীয় নির্বাচন, পরে জাতীয় নির্বাচন: আবদুল কাইয়ূম      পাহাড় খেকোদের ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদফতরের অনিহা       
গ্রামবাংলা
ঘাঘট নদ এখন ফসলের মাঠ
নির্মল রায়, গঙ্গাচড়া (রংপুর)
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:৩৯ পিএম  (ভিজিটর : ১৩৬)

রংপুরের গঙ্গাচড়ার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঘাঘট নদ। একসময় সোজাপথে প্রবাহমান নদটি ছিল রূপ ও সৌন্দর্যে ভরা। কিন্তু প্রতিবছরে বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পলি জমে হারিয়ে যাচ্ছে নদের নাব্যতা।

হারাচ্ছে তার সেই চিরচেনা যৌবন। পানি শূন্য নদের বুকে এখন ধানসহ নানা ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে। এখন এ নদের বুকে দৃষ্টি দিলে মনে হয় এটি কোনো বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।

সম্প্রতি সরেজমিন উপজেলার বেতগাড়ী, বড়বিল, আলমবিদিতর এলাকার ঘাঘটের বুকে দেখা গেছে- ধান, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুনসহ বিভিন্ন সবজি ও ফসল চাষাবাদের দৃশ্য। এ নদের বুকে বোরো ধান চারা রোপণ করেছেন জলিল (৫০), মোজাম্মেল (৫৫)-সহ আরো একাধিক কৃষক। সরকারিভাবে নদী রক্ষায় তৎপর না থাকায় ঘাঘট এখন কেবলই নামসর্বস্ব নদী বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

জানা যায়, নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার কুজিপাড়া গ্রামে তিস্তার শাখানদ হিসেবে ঘাঘটের যাত্রা শুরু। পরে এটি গঙ্গাচড়া উপজেলার পশ্চিম সীমানা দিয়ে নোহালী, আলমবিদিতর ও বেতগাড়ী ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে রংপুর সদর থানা অতিক্রম করে পীরগাছা উপজেলায় প্রবেশ করেছে। আঁকাবাঁকা পথে ঘাঘটের দৈর্ঘ্য ১২০ কিলোমিটার।

শুকনো মৌসুমে ঘাঘটের পানিপ্রবাহ এখন শূন্যের কোঠায়। অথচ বর্ষাকালে নদীভাঙনে প্রতিবছর বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও স্থাপনা। নদটি খনন করা হলে কৃষকরা উপকৃত হবে বেশি। সেইসঙ্গে বাড়বে মাছের উৎপাদন। তা না হলে স্মৃতির পাতা থেকে হারিয়ে যাবে এ নদটি।

বেতগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাইমিন ইসলাম মারুফ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ঘাঘট নদ খনন না করায় ভরাট হয়ে গেছে এর তলদেশ। বর্ষাকালে অল্প পানিতে নদ ভরাট হয়ে বন্যা দেখা দেয়। নদতীরবর্তী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সে সঙ্গে ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, নদটি খনন করে শুকনো মৌসুমে নদের পানি ব্যবহার করে চাষাবাদ করা যেত, পাশাপাশি বর্ষাকালে প্রচুর মাছ উৎপাদন হতো। ফলে অনেকের জীবিকা নির্বাহের পথ আরো সুগম হতো।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান বলেন, ঘাঘট নদের কিছু অংশ খনন করা হয়েছে। তবে গঙ্গাচড়া পয়েন্টে খনন করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, ঘাঘট নদের উৎপত্তিস্থল থেকে শেষ পর্যন্ত খননের জন্য একটি সমন্বিত প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে।


কেকে/এএস





মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

চকরিয়ায় ১২তম উপজেলা স্কাউট সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নোবিপ্রবিতে ইশারা ভাষা বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন
শ্রীমঙ্গলে লাইব্রেরি ও শিশু উদ্যান দখলমুক্ত করার দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম
রাবিকে পেছনে ফেলে সহকারী জজে সারা দেশে প্রথম হলেন ববির সাদিয়া
কোহলির সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল পাকিস্তান

সর্বাধিক পঠিত

সায়ান রিসোর্টের আড়ালে নারী ও মাদক ব্যবসা
পুত্র সেজে ভাতিজা তোলেন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, জড়িত ইউপি সচিব
ওয়েস্ট অ্যান্ড হাই স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি মীর নেওয়াজ
বিদ্যালয়ে না গিয়েও সুবিধা ভোগের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে পাবিপ্রবির ক্রিকেট ফাইনাল বন্ধ

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝