টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) বাদ আসর থেকে নিজামউদ্দিন মারকাজ অনুসারীদের তত্বাবধানে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
পাকিস্তানের মাওলানা মোঃ হারুন সাহেবের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিজামউদ্দিন মারকাজের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় ময়দানে খিত্তায় খিত্তায় তালিম শুরু হয়েছে। বিদেশী সাথীদের জায়গায় আলাদা আলাদা ভাষায় তালিম হয়েছে। যোহরের নামাজের পরে আগত সাথীদের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন মাওলানা মোশাররফ সাহেব।
বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইয়াকুব সিলানী। তরজমা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা মনির বিন ইউসুফ সাহেব।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে বুধবার রাত থেকেই জামাতবদ্ধ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। দেশের ৬৪টি জেলার মুসল্লিরা তাদের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। কোন জেলার মুসল্লি কোন খিত্তায় অবস্থান করবেন সে দিকনির্দেশনাও ইতোমধ্যে দেয়া হয়েছে। ময়দানে মুসল্লিদের অবস্থানও জেলাওয়ারি নির্দিষ্ট খিত্তায় (ভাগে) বিভক্ত করা হয়েছে। খিত্তা পরিচালনার জন্য রয়েছেন খিত্তার জিম্মাদাররা।
ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড: নাজমুল করিম খান।
তিনি বলেন, আমরা নিরাপত্তার জন্য ইজতেমা মাঠকে ৫টি সেক্টরে ভাগ করেছি। ৫টি সেক্টরের মাধ্যমে আমরা ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার বসিয়েছি, যেখানে বাইনোকুলারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মুসল্লি ভাইদেরসহ সব চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করা হবে। সাদপন্থিদের ইজতেমায় ৭ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীও মোতায়েন রয়েছে। ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ৩৩৬টি সিসি ক্যামেরা, সার্ভিল্যান্স টিম, ৩৫টি বাইনোকুলার, ২০টি চেকপোস্ট ও ৩৫টি মোবাইল টিম কাজ করছে। কোন অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে মোনাজাতের দিন বিআরটি ফ্লাইওভার ব্যবহার করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
কেকে/ এমএস