দিনাজপুরের বীরগঞ্জে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের অতিরিক্ত ভাড়ার প্রতিবাদ ও ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও আলু ঢেলে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিজয় চত্বরে উপজেলা আলু চাষি ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ব্যানারে এই কর্মসূচিতে প্রায় দুই শতাধিক কৃষক ও আলু ব্যবসায়ী অংশ নেয়।
উপজেলা আলু ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাকির হোসেন ধলু, আলু ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হর সুন্দর বর্মন, সহ-সভাপতি ও ভোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম, সুজালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, সুজালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আলহাজ্ব মো: জসিম উদ্দিন, বৈষম্য বিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের নেতা জেমিয়ন রায়, গণঅধিকার পরিষদের ছাত্র আব্দুর রহমানসহ প্রমুখ। তারা অভিযোগ করেন, এ বছর জেলার হিমাগার মালিকরা আলু সংরক্ষণের জন্য অস্বাভাবিক ভাড়া নির্ধারণ করেছেন। যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের হিমাগারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি। আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা ভাড়া পুনঃনির্ধারণে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দাবি জানালেও কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আলু চাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘গত বছর হিমাগারে বস্তা প্রতি (প্রতি বস্তায় ৭০ কেজি) আলু সংরক্ষণের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৩২০ টাকা, এ বছর প্রতিকেজি আলু ভাড়া ৮ টাকা নির্ধারণ করায় চাষিদের ৭০ কেজির নস্তার জন্য ৫৬০টাকা গুনতে হচ্ছে। অথচ মুন্সিগঞ্জের হিমাগারে প্রতি ৫৫ কেজি আলুর বস্তার জন্য ৩০০ টাকা এবং রাজশাহীতে একই ওজনের এক বস্তার জন্য ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। হিমাগার মালিকরা বাড়তি টাকা নেওযার কারনে চাষি ও ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন।’
তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে চাষি-ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে কঠোর আন্দোলনে যাব আমরা।’
প্রায় ৪০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধের কারণে শত শত যানবাহন আটকে গিয়ে যানজট সৃষ্টি হয়। সংবাদ পেয়ে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ফজলে এলাহী সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ কৃষক ও ব্যবসায়ীদের ৫ দিনের মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধান করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
কেকে/ এমএস