ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাকে কুপিয়ে হত্যা করলেন সিয়াম মোল্লা(১৯) নামের এক প্রতিবন্ধী ছেলে। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে আখাউড়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬ ছয়টার দিকে উপজেলার গাজির বাজার সংলগ্ন আনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাসিমা বেগম আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার স্ত্রী। এসময় মিজান মোল্লা মসজিদে নামাজে ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমিউদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের ছেলে সিয়াম নাটক সাজান, তার মামাবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। তারাই তার মাকে হত্যা করেছে।
সিয়ামকে বাসা থেকে বের হতে দেয়নি তার মা সেই ক্ষোভের কারণেই তার মাকে তরকারি কাটার বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই স্বীকার করেন সে। আমরা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ বের করার জন্য চেষ্টা করছি। তবে নিহতের নাতনি ও সিয়ামের ভাগনে সাত বছরের শিশু ওমর ফারুক পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। সে জানায়, তার সামনেই নানি নাসিমা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেন মামা সিয়াম। পরে সিয়ামকে আটক করে পুলিশ। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের মেয়ে নাদিরা বেগম জানান, আমার ভাই একজন প্রতিবন্ধী। সে কয়েকদিন পরপর বাসা থেকে হারিয়ে যায়। হারিয়ে গেলে মা খাবার দাবার বন্ধ করে কান্নাকাটি করে ভেঙ্গে পড়ে। এ জন্য মা সিয়ামকে বাসা থেকে যেন যেতে না পারে সব সময় মায়ের নজরেই রাখতো। আমার ভাই কখনো মাকে খুন করতে পারে না। সে ভয়ে এসব কথা বলতেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোসা মিয়া জানান, ভোর ৬টার দিকে খবর পায় মিজান মোল্লার স্ত্রীকে কে যেন কুপিয়ে হত্যা করে চলে গেছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে হত্যাকারী সিয়াম মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে খুনি যেই হউক সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রকৃত অপরাধীর বিচার দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। তবে সে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
কেকে/এআর