কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণানন্দবকসী সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পাঁচ কৃষককে মারধর করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনর সদস্যরা।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ওই সীমান্তের ৯৩০ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৮ নম্বর সাব পিলারের পাশে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কৃষ্ণানন্দ বকসী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে বিএসএফকে ধাওয়া দিলে তারা দৌড়ে কাঁটাতারের ভিতরে চলে যায়। এসময় শতশত জনতা লাঠিসোটা হাতে সীমান্তে অবস্থান করে। খবর পেয়ে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে সীমান্ত থেকে সরিয়ে দেয়। বিএসএফের হামলায় আহত পাঁচ কৃষক হলেন, কৃষ্ণানন্দ বকসী গ্রামের মৃত ইসরাইলের ছেলে সামছুল হক( ৫৫) , মৃত খোকা মাহমূদের ছেলে জাবেদ আলী (৬০), মোন্নাফ হোসেনের ছেলে কাশেম আলী (৪৮), মৃত মুকুল ইসলামের ছেলে রিপন মিয়া (৩৫) ও কাশেম আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম (৩৮)।
প্রতক্ষদর্শী রুবেল সহ আহত তাজুল ইসলাম ও সামছুল হক জানান, দুপুরে তারা ১০/১২ জন কৃষক সীমান্তের শূণ্য রেখার কাছাকাছি তাদের চাষ করা ভূট্রা, মরিচ ও আলুর খেতে কাজ করছিলেন। এসময় ভারতের নারায়নগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের ৮/১০ জন বিএসএফ সদস্য ভারতীয় হরিদাশ খামার গ্রামের কাটাতারের ৩নং গেইট খুলে শূন্য রেখা পেরিয়ে বাংলাদেশের ভূখন্ডে প্রবেশ করে। বিএসএফ শূন্য রেখা অতিক্রম করায় কৃষকরা তাদেরকে নিষেধ করেন। এসময় বিএসএফ সদস্যরা কৃষকদের অকথ্য গালাগালি করতে করতে তাদের উপর চড়াও হয় এবং লাঠি দিয়ে মারধোর শুরু করে। প্রাণ ভয়ে কৃষকরা গ্রামের দিকে দৌড় দিলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের পিছু নিয়ে গ্রামের ভিতরে ঢুকে পরে। পরে গ্রামবাসী একজোট হয়ে বিএসফদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে কাঁটাতারের ভিতরে চলে যায়। এদিকে সীমান্তের ওপারে দুটি পিকআপে আরো ৫০/৬০জন বিএসএফ সদস্য মোতায়ন করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশের গ্রামবাসীরা লাটিসোটা নিয়ে সীমান্তে জড়ো হতে থাকে।
খবর পেয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধীন গোরকমন্ডল বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার দেলবর হোসেন সহ বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে শুন্য লাইন থেকে সরিয়ে দেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সীমান্তের উভয় পার্শে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি’র অধিনায়ক লে: কর্ণেল শাকিল আলম সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি খোঁজ খবর নেয়ার পর সত্যতা পেলে প্রতিবাদ জানানো হবে।
কেকে/এআর