পতিত হাসিনা সরকারের সব ‘নাটের গুরুকে’ বিচারের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। নয়ত সাধারণ মানুষ তাদের ক্ষমা করবেন না।
দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সম্মেলনের ফাঁকে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, “আমরা ভারতে নোটিশ পাঠিয়েছি, শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে, মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনারের প্রতিবেদনসহ আমাদের কাছে অসংখ্য প্রমাণ আছে। তারা যা (অপকর্ম) করেছে তার সবকিছুর স্বাক্ষী এটি। জাতিসংঘ এটি নথিবদ্ধ করেছে এবং হাসিনা, তার সরকার, তার সমর্থকরা কী করেছে তার অনেক প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা আশা করি এটি চলবে এবং তাকে আমরা বিচারের আওতায় আনব। এটি হতে হবে। নয়ত মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না।”
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী সরকার ও তাদের দোসররা ১ হাজার ৪০০ মানুষকে হত্যা করেছে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্তত ১৩ শতাংশই শিশু। অপরদিকে পুলিশ জানিয়েছে, হাসিনার পতন আন্দোলনে তাদের ৪৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে প্রফেসর ইউনূস আরো বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে তার সরকারের বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেছেন, হাসিনা যখন দেশে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছিল তখন আমিরাতের অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছিলেন। এজন্য বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। তিনি সরকার গঠন করেই আমিরাতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং তাদের মুক্তি দিতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এসব মানুষ আমিরাতের স্থানীয় আইন হয়ত ভঙ্গ করেছে, কিন্তু তারা দেশপ্রেম থেকে বিক্ষোভ করেছিলেন। বিষয়টি অবহিত করার পরপরই আমিরাতের প্রেসিডেন্ট আটককৃত বাংলাদেশিদের মুক্তি দিয়ে দেয়।
কেকে/এআর