সন্তানের পরীক্ষা শেষের পথে কিন্তু সন্তানের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বাবা। মায়ের কাছে এ যেন আরো যুদ্ধ করার উপক্রম। প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে দাঁড়ানোই যাচ্ছে না গেটগুলোর আশপাশে। এর ওপর আশপাশের রাস্তায় যানজটের কারণে দাঁড়ানোর জায়গাও নেই।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আজকের চিত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেও বাহাদুর শাহ পার্কের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একমুখী রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ না করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থী অভিভাবক দের চলাচলের জায়গা সংকট দেখা দেয়। ফলে সময়মতো সন্তান কিংবা বাবা-মা শুভাকাঙ্ক্ষীরা পৌঁছাতে পারছিলেন না একজন আরেকজনের কাছে। যদিও পরবর্তীতে একমুখী চলাচল সীমিত করা হয়। কিন্তু ভোগান্তির তেমন কোনো সুরাহা হয়। আরো স্থবির হয়ে পড়ে সবকিছু।
পরীক্ষায় বোনকে নিয়ে আসা এক ভাই জানান, গাড়িগুলো রাস্তায় ঢুকে পড়ায় হাঁটার রাস্তা নেই বললেই চলে, এতে যাওয়া আসে অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। আরো আগেই গাড়িগুলো বন্ধ করা উচিত ছিল।
ফেসবুক গ্রুপে এক জবি শিক্ষার্থী লেখেন, ভাই ভিক্টরিয়ার সামনের পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর যে কেউ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। কাইন্ডলি আপনারা যদি পারেন ভিক্টোরিয়ার সেকন্ড গেটে গিয়ে অধিকাংশ মানুষ লক্ষ্মী বাজারের দিকে বের করে দেন প্লিজ।
মেয়েকে নিয়ে আসা এক বাবা জানান, এভাবে রাস্তায় গাড়ি দিয়ে ভর্তি থাকায় মেয়েকে যেখানে দাঁড়াতে বলেছিলাম সেখানে পৌঁছাতেই পারিনি। বের হলে হয়তো খুঁজবে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ এই দিকটায় নেই তেমন। প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় পাওয়া যায় দুজনকে। ভোগান্তির ব্যাপারে তাদের প্রশ্ন করলে এক কনস্টেবল জানান, কোথায় কী হচ্ছে সেই দায়িত্ব আমাদের না। আমরা এই রাস্তায় দায়িত্বে। গাড়ি আরও ২০ মিনিট আগে আটকে দিই কিন্তু যেগুলো ঢুকে গেছে সেটা বের হতেও পারছে না। তাই এই অবস্থা।
কেকে/এআর