শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে শেষ হয়েছে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের দু'দিনব্যাপী ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব।
আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বারোমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টান ধর্মপল্লীতে সমাপনী খ্রিষ্টযাগ (মূল প্রার্থনা) অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পুনর্মিলন, পাপ স্বীকার এবং বিকেলে পবিত্র খ্রিষ্টযাগের মধ্য দিয়ে তীর্থ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে রাতে খ্রিষ্টভক্তরা নিজেদের পাপ মোচনে মোম জ্বালিয়ে আলোর মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও প্রথম দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ছিল আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান ও নিশি জাগরণ।
আজ সকালে জীবন্ত ক্রুমণ্ডচের পথ অতিক্রম ও মহা খ্রিষ্টযাগের মধ্য দিয়ে ২৭তম তীর্থোৎসবের সমাপ্তি হয়। দুই দিনব্যাপী এ তীর্থোৎসবে ২০ হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টভক্ত অংশ নেন।
তীর্থোৎসবে ঢাকা আসা ক্যাথলিকভক্ত সূচনা ম্রং বলেন, এবারই প্রথম এসেছি খুব ভালো লাগছে। আমাদের মনের চাওয়া, চাহিদা ও পাপ মুক্তির জন্য মা মারিয়ার কাছে প্রার্থনা করছি।
নেত্রকোনা থেকে আসা মেঘ রিছিল বলেন, মা মারিয়ার কাছে সাহায্য চাইতে এবং পরিবারের শান্তির জন্য সারা দেশ থেকে সব খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা এখানে আসেন। এবারের তীর্থযাত্রায় বিশ্ব মানবতার কল্যাণে, বিশেষ করে বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধানের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।
তীর্থোৎসবের প্রধান অতিথি ঢাকা মহাধর্ম প্রদেশের সহকার বিশপ সুপ্রত গমেজ বলেন, প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পারিবারিক বন্ধন যেন আরো দৃঢ় হয়, অন্যের অধিকার, মর্যাদা সম্পর্ককে যেন আমরা আরো সচেতন হই। এ তীর্থোৎসবের মধ্য দিয়ে যেন আমরা সুন্দর সমাজ গড়ে তুলি।
আয়োজক কমিটি জানায়, পর্তুগালের ফাতেমা নগরের আদলে ও অনুকরণে ১৯৯৮ সালে বারোমারীতে ফাতেমা রানির তীর্থ স্থানটি স্থাপিত হয়। সেই সময় থেকে ফাতেমা রানির করুণা ও দয়া লাভের আশায় অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তীর্থ যাত্রীরা এসে এই উৎসবে অংশ নেন।
কেকে/এজে