ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের একটা প্রজন্মান্তর ঘটে গেছে। তরুণরা বাংলাদেশকে নতুন করে পথ দেখিয়েছে। অর্থনীতিসহ সব কিছুতেই তরুণরা নেতৃত্বে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যে প্রজন্ম জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছে, সেই প্রজন্মই বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় যুব দিবস ২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, তরুণদের নিয়ে শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, সমগ্র পৃথিবী নতুন করে ভাবছে, আর অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের তরুণরা এই জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পৃথিবীকে একটি নতুন পথ দেখিয়েছে। ফলে এই তারুণ্য বাংলাদেশকে পরবর্তীতে কোথায় নিয়ে যাবে পুরো পৃথিবী এখন সেটি দেখার অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, তারুণ্যের ভেতরে যে উদ্যম, স্পৃহা ও সচেতনতা রয়েছে, এসব গুণাবলিকে যদি কাজে লাগানো যায়, তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে সবাই রাস্তায় নেমে এসেছিল। একদিকে ছিল দেশমাতৃকা, অন্যদিকে মৃত্যু। মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু যেকোনো একটাকে বেছে নিয়ে আমাদের লড়তে হয়েছিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সরকারি ক্ষেত্রে আগামী ২ বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
তিনি আরো বলেন, মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সময় যৌবনকাল এবং মানবসম্পদের শ্রেষ্ঠ অংশ যুবসমাজ। ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ হিসেবে এই যুবশক্তি দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের মানবসম্পদের উপযোগী করে গড়ে তুলছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এরপর উপদেষ্টাদ্বয় ‘জাতীয় যুব দিবস ২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত যুব মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে ১২ জন সফল আত্মকর্মী ও ৩ জন শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠককে ‘জাতীয় যুব পুরস্কার ২০২৪’ দেওয়া হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এমআই