মূল ভূখণ্ড থেকে বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। প্রতিবছর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারাচ্ছে দ্বীপের শতশত পরিবার। শত বছর ধরে দ্বীপের ভাঙন রোধে নেওয়া হয়নি কোনো কার্যকরী উদ্যোগ। ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর হাতিয়ার কৃতি সন্তান মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দ্বীপবাসীর দুঃখ নদীভাঙন রোধে ব্লক হতে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে নোয়াখালী জেলায় চলমান ও প্রস্তাবিত প্রকল্প ও অন্যান্য কাজের অগ্রাধিকার নিরূপণের লক্ষ্যে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের এমসিএস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ গণশুনানি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও গত শুক্রবার থেকে উপজেলার বিভিন্ন ভাঙনকবলিত এলাকার আটটি স্থানে ভিন্ন ভিন্নভাবে গণশুনানি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণশুনানি কার্যক্রমে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন হাতিয়ার কৃতি সন্তান ২৪ শের গণঅভ্যুত্থানের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। আবদুল হান্নান মাসুদের পিতা আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (হাতিয়া) জামিল আহমেদ পাটোয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসমন্বয়ক ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাতিয়া প্রতিনিধি মো. ইউসুফ, ছাত্র আন্দোলনের হাতিয়া উপদেষ্টা আবদুল কাদেরসহ এলাকার শিক্ষক সমাজসেবী ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি।
গণশুনানিতে হাতিয়ায় ভিবিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নদীভাঙনের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে ধরেন। তারা এই নদীভাঙনের কবল থেকে মুক্তির পেতে স্থায়ী ব্লক বাঁধ নির্মাণ করে মানুষের বসতভিটেমাটি সহায় সম্পত্তি রক্ষা করতে আবদুল হান্নানের মাধ্যমে এর স্থায়ী সমাধান কল্পে বর্তমান সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী বলেন, মেঘনা নদীর ভাঙন হতে হাতিয়া উপজেলার পোল্ডার নং ৭৩/১ (এ+বি) এবং পোল্ডার ৭৩/২ রক্ষার্থে সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্প ফেজ-১ ও ফেজ-২ এর ডিপিপি প্রণয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ফেজ-১ এর জন্য ২০৭০ কোটি টাকা এবং ফেজ-২ এর জন্য ১০০০ কোটি টাকা সম্ভাব্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আশা করছি নদীভাঙন রোধে হাতিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে।
কেকে/এএস