ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মেঘনা নদীতে অবৈধ ঘের থাকায় নদীর স্বাভাবিক গতি বাধাসহ জেলেদের মাছ ধরতে সমস্যায় সম্মুখীন হয়ে থাকে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস আরার নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে দিনব্যাপী অবৈধ ঘের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় চরশিবপুর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীর শাখা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রায় ৪ ঘন্টা যাবৎ চলমান এ অভিযানে ৪টি খেও/ঘের উচ্ছেদ করা হয় এবং ৩৫টি চায়না দুয়ারী ম্যাজিক জাল (রিং জাল) জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৩ হাজার টাকা। অভিযান শেষে দশআনী ঘাটে জালগুলো জনসম্মুখে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
উক্ত অভিযানে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পুলিশ সদস্য উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন।
জনৈক জেলে বলেন, নদীতে খেউ বা ঘের থাকার কারণে আমরা জাল টানতে পারি না। এমনকি মাছ মারতে গেলে খেউ বা ঘের মালিকরা বাধা দেয়, আমরা যদি মাছ না ধরতে পারি- তাহলে ছেলেমেয়ে নিয়ে বাঁচব কীভাবে?
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, এক ধরনের মাছের ঘের যা তিন দিকে বাঁশ পুঁতে, ডালপালা ফেলে, কচুরিপানা আটকে তৈরি করা হয়। ঘের এবং নদীর মাছ জায়গাটিকে অভয়ারণ্য মনে করে মাছ ঘেরে আশ্রায় নেয়। যেখানে সাধারণ জেলেদের মাছ ধরার কোনো অধিকার থাকে না।
অন্যদিকে, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদা ইসলাম বলেন, বাঁশ পুঁতে, ডালপালা ফেলে, কচুরিপানা আটকে ঘের তৈরির ফলে নদী প্রবাহে যে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, তা যদি চলতেই থাকে তাহলে পলি জমে প্রতিনিয়তই নাব্য হারাবে নদী। তারই প্রেক্ষিতে আজ এই অভিযান চালানো হয়। ভবিষ্যতেও এরকম অভিযান চলবে।
কেকে/এএম