গাজীপুরের গাছা থানাধীন পলাশোনা গিলারটেক এলাকায় স্মার্ট এগ্রো ফার্মের আড়াই শতাধিক বিলুপ্তপ্রায় মসলিন কার্পাস তুলার চারা গাছ কেটে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতের যেকোনো সময় এই চারা গাছগুলো গোড়া থেকে কেটে ফেলা হয়। এতে আনুমানিক ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ফার্ম কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় গাছা থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন প্রকল্পের কর্মকর্তা জুবায়ের রহমান।
জানা যায়, পলাশোনা মৌজায় ২৬৬ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত ‘স্মার্ট এগ্রো ফার্ম’ নামের এই ফার্মটিতে বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিলুপ্তপ্রায় মসলিন কার্পাস তুলার চারা গাছ রোপণ করা হয়েছিল। বেশিরভাগ গাছেই তুলার ফলন আসতে শুরু করেছিল। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টার মধ্যে যেকোনো সময় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা ফার্মের গাছগুলো কেটে ফেলে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়- রমজান আলী (৫৫), হাবিব মিয়া (৩৫), খলিলুর রহমান (৪৫), হাবীবুর রহমান মোল্লা (৪০), ইদ্রিস মোল্লাহ (৬০), সাইফুল ইসলাম (৩৮), কামরুল হাসান (৪২) ও মনিরুজ্জামান (৪৮) ব্যাক্তিদের সাথে বহুদিন যাবৎ তাদের বিরোধ চলে আসছিল। তারা সবাই ওই এলাকার বাসিন্দা।
ফার্মের কর্মকর্তা মো. জুবায়ের রহমান বলেন, ফুটি কার্পাস নামে পরিচিত এই গাছের তুলা দিয়ে তৈরি করা হত ঢাকাই মসলিন। যা একটি বিরল এবং বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে আমরা এটার বীজ সংগ্রহ করে চারা রোপণ করেছিলাম। গাছগুলো কেটে ফেলায় শুধু প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফার্মের আরেক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, বিলুপ্তপ্রায় মসলিন কার্পাস তুলার সংরক্ষণ ও চাষাবাদ আমাদের ঐতিহ্য রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু কিছু অসাধু চক্র এই উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই, দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যাতে কৃষিক্ষেত্রে এই সম্ভাবনাময় উদ্যোগ অব্যাহত রাখা যায়।
এ বিষয়ে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, সাধারণ ডায়রি হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এএম