নোয়াখালী-৪ আসনের (সদর-সুবর্ণচর) সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩শ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কৃষক দল নেতা।
রোববার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন মিয়া।
এর আগে, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে চরজব্বর থানায় মামলাটি করেন সুবর্ণচর উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ ইকবাল।
মামলায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীকে প্রধান আসামি, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম খায়রুল আনম সেলিমকে ২নং আসামি করা কর হয়।
এ ছাড়াও মামলায় চর বাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব, মোস্তফা পারভেজ সাবেক সভাপতি ২নং চরবাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, হানিফ চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগ, আলাউদ্দিন সাধারণ সম্পাদক চরবাটা 'ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, তরিকুল ইসলাম সাবেক চেয়ারম্যান চর জব্বার ইউনিয়ন, নুর ইসলাম মানিক মেম্বার, সামছুদ্দিন বাবুল সাধারণ সম্পাদক ৪নং চর ওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, বেলায়েত হোসেন সাবেক চেয়ারম্যান চর আমান উল্যা 'ইউনিয়ন, আবদুল্লাহ আল মামুন জাবেদ আহবায়ক সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগ।
এ ছাড়াও ছিদ্দিক মেম্বার, আক্তার মেম্বার, বদিউল আলম আহবায়ক চরজব্বার ইউনিয়ন যুবলীগ, মোঃ শাহআহান সাধারন সম্পাদক চরজব্বর ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, আবদুল মান্নান ভূইয়া সাংগঠনিক সম্পাদক, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও চেয়ারম্যান চর ওয়াপদা ইউনিয়ন, সাইফুল্যাহ খসরু যুগ্ম আহ্বায়ক সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ, নুরুল আমিন প্রকাশ চুঙ্গা নুরুল আমিন সভাপতি ওলামা লীগ সুবর্ণচর উপজেলা, মো. মোতাহের সভাপতি ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, মোজাম্মেল হোসেন সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২শে ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১নং আসামিকে অবৈধভাবে বিজয় করার লক্ষ্যে সদর- সুবর্ণচরে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আওয়ামী লীগের এক সন্ত্রাসী বাহিনী।
ঘটনার দিন তারা নোয়াখালী-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী মো. শাহজাহানের নির্বাচনি প্রচারণা শেষে নেতাকর্মীরা মামলার ঘটনার স্থল অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়ার বসত বাড়িতে দুপুরের খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা অবস্থায় এজাহার নামীয় আসামি ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা একরামুল করিম এমপির নির্দেশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে, অস্ত্র, রামদা, হকস্টিক, দা, চেনি ইত্যাদি নিয়ে অ্যাডভোকেট জাকারিয়ার বাড়িতে আক্রমণ করে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীকে ধাওয়া করে। এ সময় আসামিদের এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে বাড়ির ভিতরে থাকা নেতাকর্মীদের প্রায় চার শতাধিক বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল চুরি করিয়া লুটপাট করে নিয়ে যায়।
কেকে/এএস