বান্দরবানে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর দুর্গম মুরুংঝিরি থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহৃত ২৬ জন রাবার শ্রমিক এখনো উদ্ধার হয়নি।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে আর ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অপহৃতদের উদ্ধারে গহিন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মুরুংঝিরির বিভিন্ন দুর্গম এলাকার রাবার বাগান থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রথমে ২৭ জন রাবার শ্রমিককে ধরে নিয়ে যায়, পরে তাদের কাছ থেকে জিয়াউর রহমান নামে এক শ্রমিক পালিয়ে চলে আসে, তবে এখনো সন্ত্রাসীদের জিন্মায় রয়েছে ২৬ শ্রমিক।
এদিকে অপহরণের পর মুঠোফোনে বিভিন্ন রাবার বাগানের মালিকদের কাছে অপহৃতদের মুক্তিপণ বাবদ বিভিন্ন পরিমাণ টাকা দাবি করেছে সন্ত্রাসীরা।
অপহৃতরা রাবার বাগানের শ্রমিক এবং তারা কক্সবাজার জেলার রামু, ঈদগাহ এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
এদিকে হঠাৎ করে লামা উপজেলায় অপহরণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার এলাকার জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপ্স) আবদুল করিম জানান, অপহৃতদের মধ্যে ২০ জন শ্রমিকের নাম পরিচয় আমরা পেয়েছি তবে কে বা কারা অপহরণ করেছে তা এখনো জানা যায়নি। বিভিন্ন রাবার বাগানের মালিকদের কাছে অপহৃতদের মুক্তির জন্য মুক্তিপণ খুঁজছে বলে জানান তিনি।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার জানান, প্রথমে আমরা সংবাদ পেয়েছি ২৭ জন শ্রমিককে অপহরণ করা হয়েছে, পরে একজন সেখান থেকে চলে আসে। বর্তমানে ২৬ জন শ্রমিক সন্ত্রাসীদের জিন্মায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে আর তাদের উদ্ধারে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের কমলা বাগান পাড়া থেকে ৭ শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা, পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে একদিন পর অপহৃত শ্রমিকদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
কেকে/এএস