জুলাই আন্দোলনের সময় শিবিরের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও তারা মেস পরিচালনা করেনি বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এভাবে ইতিহাস বিকৃতি আর কদ্দিন!
এ ছাড়া তিনি আরো জানান, ১ আগস্ট সন্ধ্যায় মুশফিকুল ফজল আনসারীর মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে প্রথম মেসেজ পান তারা। আন্দোলনের সময় প্রবাসী সাংবাদিক তাসনীম খলিল, জুলকারনায়েন সায়ের, মুশফিকুল ফজল আনসারীসহ বিভিন্ন সিনিয়র নাগরিকদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল বলেও তিনি জানান।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে এক স্ট্যাটাসে তিনি আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে আশ্রয় নেওয়া স্থান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করেন।
আব্দুল হান্নান মাসউদের ফেসবুক স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো—
উত্তরার কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল থেকে গোয়েন্দা বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে মো. মুনতাসিরের মাধ্যমে আমরা প্রথমে আশ্রয় নিই বাংলাদেশে প্রভাবশালী একটা আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যালয়ে, যেখান থেকে আমরা প্রথম ভিডিও বার্তা দিই।
তার পরদিন আমাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন ধৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম ভাই। ওনার বন্ধুর গুলশানের একটি স্বনামধন্য ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে।
তিন দিন সেখানে অবস্থানের পর আমরা বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাইড শেয়ার কোম্পানি পাঠাও-এর সিইওর বাসায় থাকি এক দিন।
এরপর ওখান থেকে একটি মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক লেনিন ভাইয়ের মাধ্যমে আমরা মিরপুর ডিওএইচএস-এর ওয়াহিদ নামে একজন এক্স আর্মির অফিসে আশ্রয় নিই। যেখানকার অভিজ্ঞতা একটু অসন্তোষের জন্ম দেয়।
তারপর সেখান থেকে ৩ তারিখ গিয়ে থাকি গুলশানের এক সাবেক বিএনপি দলীয় এমপিপুত্রের বাসায়, যিনি এখন কনস্ট্রাকশনের বিজনেস করেন। ওনার ওয়াইফ অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক।
সেখান থেকে বনানী ডিওএইচএস-এ মুক্তিযুদ্ধে বীরউত্তম উপাধি পাওয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাসায় ৪ ও ৫ আগস্ট অবস্থান করি।
আচ্ছা ভাই, এখানে কোনটাকে আপনাদের শিবিরের মেস মনে হচ্ছে?? দয়া করে জানাবেন...
হুম, আন্দোলন চলাকালীন শিবিরের সাথে আমাদের যোগাযোগ ছিল, বিভিন্নভাবে সহযোগিতাও করেছেন।
তাই বলে সকল কর্মসূচি ওনারা ঠিক করে দিয়েছেন, সবকিছু ওনারা অ্যারেঞ্জ করেছেন—এসব কেমন কথা!!!
এভাবে ইতিহাস বিকৃতি আর কদ্দিন!
আন্দোলনের সময় আমরা বিভিন্নভাবে প্রবাসী সাংবাদিক তাসনীম খলিল, জুলকারনায়েন সায়ের, মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের বিভিন্ন সিনিয়র নাগরিকদের সাথেও যোগাযোগ স্থাপন করি। ওনারাও বিভিন্নভাবে আমাদের সহযোগিতা করেন।
আন্দোলন চলাকালীন মুশফিকুল ফজল আনসারী ভাইয়ের মাধ্যমে সর্বপ্রথম ১ আগস্ট সন্ধ্যায় ড. মোহাম্মদ ইউনূস স্যারের কাছ থেকে প্রথম মেসেজ পাই।
কেকে/এএম